কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: পবিত্র ঈদুল ফিতরের সাতদিন পরেও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন বাস ও সিএনজি কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এমন অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্র্যাম্যমাণ আদালত।
![]() |
কাজিপুরে ইউএনওর অভিযানে বাস ও সিএনজির অতিরিক্ত ভাড়া ফেরত পেলেন যাত্রীরা |
রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার মেঘাই ও সোনামুখী বাস কাউন্টার এবং সিএনজি কাউন্টারে অভিযান পরিচালনা করেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের প্রধান দেওয়ান আকরামুল হক।
অভিযানে লাইসেন্সবিহিনী এক চালককে অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্যাম্যমাণ আদালত। অভিযানের কারণে মেঘাই থেকে কোনাবাড়ি, কুদ্দসনগর, মহাখালি, গাজিপুরগামী বাস ও মাইক্রোচালকদের নেয়া অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীদের ফেরত প্রদান করা হয়। এরপর সোনামুখী থেকে কোনাবাড়ি, মহাখালীগামী বাসের অতিরিক্ত ভাড়াও যাত্রীদের ফেরত দেন কাউন্টার মাস্টার।
আরও পড়ুন:
এছাড়া সোনামুখী ও মেঘাই থেকে সিএনজি অটোরিক্সার নেয়া অতিরিক্ত ভাড়া যাত্রীরা ফেরত পান।
এসময় কোনাবাড়িগামী যাত্রী বেলাল হোসেন বলেন, যেখানে সোনামুখী থেকে সাড়ে তিনশ থেকে চারশ টাকায় আমরা কোনাবাড়ী যাতায়াত করি আজকে ছয়শ থেকে সাতশ টাকা করে ভাড়া নেয়া হচ্ছে। সকালে এই ভাড়ায় অনেক বাস ছেড়ে গেছে।
অভিযানের কারণে এখন আমাকে দুুইশ টাকা ফেরত দিছে সুপারভাইজার। সোনামুখী থেকে সিরাজগঞ্জগামী সিএনজির যাত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, আমরা ৮০ টাকা দিয়ে সিরাজগঞ্জে যাই। গত কয়েকদিন তারা ১২০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই। আজকে ইউএনও আসায় ৮০ টাকা করে ভাড়া নিলো।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়যান আকরামুল হক বলেন, বেশি ভাড়ার অভিযোগ পেয়েই অভিযানে নেমেছি। এখন নির্ধারিত ভাড়াতেই যাত্রীগণ যেতে পারছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।