সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় আদালতের নির্দেশে জুলাই বিপ্লবে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনে বাধার মুখে পড়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
![]() |
বকশীগঞ্জে বাদির বাধাঁয় রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনে ব্যর্থ হলেন ম্যাজিস্ট্রেট! |
মামলার বাদী ও রিপনের বড় ভাই সরকার আকতার হোসেনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) লাশ উত্তোলন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়।
গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দেন যে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট উত্তরায় জুলাই বিপ্লবে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রিপন মিয়ার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হবে। এরপর মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বাট্টাজোড় ইউনিয়নের পানাতিয়া গ্রামে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল লাশ উত্তোলনের জন্য যায়। কিন্তু রিপনের ভাই আকতার হোসেন এতে বাধা দেন। তার দাবি, লাশ উত্তোলনের আগে তাকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন:
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা জানান, "সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে আমরা লাশ উত্তোলনে এসেছিলাম। কিন্তু বাদীর বাধার কারণে কাজ এগোয়নি। আদালতের নতুন নির্দেশনা পাওয়ার পরই কেবল পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।" তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, "মৃত্যুর পর ময়নাতদন্ত ছাড়াই রিপনকে দাফন করা হয়। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল।"
মামলার বাদী আকতার হোসেন বলেন, "আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে—এসব প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও লাশ তোলার আগে আমাকে জানানো হয়নি। তাই আমি বাধা দিয়েছি।" উল্লেখ্য, গত বছর উত্তরা পূর্ব থানায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে রিপনের হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের করেন আকতার।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের সমর্থনে উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের চরকাউরিয়া সীমারপাড়ের রিপন মিয়া (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। অভিযোগ রয়েছে, মৃত্যুর পর দ্রুত তার দাফন করা হয়, যা তদন্তের গতি ব্যাহত করেছে। আদালতের সাম্প্রতিক নির্দেশনা সত্ত্বেও বাদীর অনিচ্ছায় লাশ উত্তোলন প্রক্রিয়া এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ বা নতুন নির্দেশনা প্রাপ্তি পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।