লিয়াকত হোসাইন লায়ন: জামালপুরের সরিষাবাড়ীর যমুনা ইউরিয়া সার কারখানার প্রায় ৩০ কোটি টাকার সার আত্মসাতের অভিযোগে কারখানার ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দায়ের হয়েছে।
![]() |
জামালপুরে যমুনা সার কারখানার ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা |
দুদকের পক্ষে গত ৮ এপ্রিল জামালপুর জেলা জজ আদালতে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক মো. ইকবাল হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।
১০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:
মামলার আসামিরা হলেন যমুনা সার কারখানার বরখাস্তকৃত বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক ওয়ায়েছুর রহমান, সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) মো. মাঈন উদ্দিন, উপসহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মো. হারুন-অর-রশিদ, উপসহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী বিক্রয় কর্মকর্তা বজলুর রশীদ খান ও অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) খোকন চন্দ্র দাস।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা যোগসাজশের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে অবস্থিত যমুনা ফার্টিলাইজার কম্পানি লিমিটেড ১৮ হাজার ৯শ ১৬.৪৫ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আত্মসাৎ করেন। যার সরকারি মূল্য ২৯ কোটি ৯৫ লাখ ৯৭ হাজার ৩৫২.২৪ টাকা।
জামালপুর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মলয় কুমার সাহা জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। ‘দুদক দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার পর মামলাটি দায়ের করেছে। এখন আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (জেএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু সালেহ মোহা: মোসলেহ উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল বা ননঅফিশিয়ালি কোনো তথ্য পায়নি। তবে, আমি এখানে যোগাযোগদানের আগে কারখানার বাইরে (বাফার গোডাউনে) সার কেলেঙ্কারির একটি ঘটনা ঘটেছিল বলে শুনেছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।