বকশীগঞ্জে বিধবা নারীর ধান ক্ষেতে পানি দিতে বাধা দিলেন ইউপি সদস্য

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক বিধবা নারীর ২ একর জমির বোরো ধান ক্ষেতে পানি দিতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।

বকশীগঞ্জে বিধবা নারীর ধান ক্ষেতে পানি দিতে বাধা দিলেন ইউপি সদস্য
বকশীগঞ্জে বিধবা নারীর ধান ক্ষেতে পানি দিতে বাধা দিলেন ইউপি সদস্য


এ ঘটনায় ফসল বাঁচাতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আমেনা বেগম নামে বিধবা ওই নারী। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মেরুরচর ইউনিয়নের মেরুরচর উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত অহিজ মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমের সঙ্গে একই এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের জমিজমা নিয়ে  বিরোধ চলে আসছে। 

আরও পড়ুন:

আমেনা বেগমের স্বামী অহিজ মিয়ার মৃত্যুর পর থেকে মোফাজ্জল হোসেন , তার মেয়ের জামাই ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন আলম বিধবা আমেনা বেগমের জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করেন এবং তাকে মারধর করে হাত ভেঙে দেন। হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করলে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১১ মার্চ শ^শুর মোফাজ্জলের পক্ষে নিয়ে ইউপি সদস্য শাহীন আলম আমেনা বেগমের দুই একর জমির পানির ড্রেন বন্ধ করে দেন। এবং সেচ পাম্প চালাতে বাঁধা প্রদান করেন। এদিকে জমিতে পানি দিতে বাঁধা দেওয়ায় ধান ক্ষেত ফেটে ক্ষেত নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এঘটনায় বিধবা আমেনা বেগম ১২ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জমিতে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

বকশীগঞ্জ ইউএনও মো. মাসুদ রানা বিষয়টি সুরাহা করতে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বকশীগঞ্জ থানাকে নির্দেশনা দেন। 

তবে ধান ক্ষেতে পানি দিতে বাঁধা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ইউপি সদস্য শাহীন আলম জানান, আমি ৮ মাস ধরে শ^শুর বাড়ি যাই না। আমি কোন বাঁধাা দেই নি।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, বিষয়টি সমাধান করতে একজন এসআইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফসলি জমিতে যেন পানি সরবরাহ বিঘœ না ঘটে সেটা নিশ্চিত করতে কাজ করা হচ্ছে। 





সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

banner

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top