ব্রিঃ জেঃ হাসান মোঃ শামসুদ্দীন (অবঃ): সতের’শ চুরাশি সালে বর্মী রাজা বোধাপায়ার আরাকান দখলের মধ্য দিয়ে স্বাধীন আরাকান বার্মার সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে প্রথম ইঙ্গ-বর্মী যুদ্ধের পর ১৯২৮ সালে আরাকান ইংরেজদের দখলে আসে।
![]() |
রাখাইন পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের উপর প্রভাব |
১৯৪৮ সালে বার্মা স্বাধীন হলে আরাকান বার্মার অন্তর্ভুক্ত একটা রাজ্যে পরিণত হয়। তখন থেকেই আরাকানের জনগণ স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছিল। স্বাধীনতা হারানোর বহু বছর পর আরাকানের রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড লীগ অব আরাকানের সশস্ত্র শাখা আরাকান আর্মি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে রাখাইনের ঘাঁটিগুলো থেকে উচ্ছেদ করে রাখাইনে তাদের উপস্থিতি জানান দিতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাখাইন রাজ্যের ১৭ টি টাউনশিপের মধ্যে ১৪ টি আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চকপিউ, সিতওয়ে এবং মুনাং শহরতলী এখন তাতমাদাও তথা মিয়ানমার আর্মির নিয়ন্ত্রণে। রাখাইনের বেশির ভাগ এলাকা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রাখাইনের পরিস্থিতি নিরাপদ ও স্থিতিশীল নয়। মিয়ানমার বিমান বাহিনী সিতওয়ে এবং পাউকটাও এলাকায় বিমান আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে মৃত্যু, ধ্বংস ও বাস্তুচ্যুতি বেড়ে চলছে। ক্রমবর্ধমান রাখাইন পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য রোহিঙ্গাদের প্রবাহ সামলানো, সীমান্তের নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং এই অঞ্চলের জটিল ভূ-রাজনৈতিক কারণগুলি সঠিকভাবে মোকাবেলার ক্ষেত্রে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। উপযুক্ত কূটনৈতিক, মানবিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়িত না হলে এই সমস্যাগুলি বাংলাদেশের ভবিষ্যত স্থিতিশীলতা এবং অর্থনীতির জন্য উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী তাদের দখলে থাকা এলাকা গুলোতে নতুন করে শক্তিবৃদ্ধি করতে চাচ্ছে। অন্যদিকে আরাকান আর্মি মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে চাপের মধ্যে রাখছে যাতে তারা শক্তিবৃদ্ধি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে না পারে। রাখাইন থেকে মিয়ানমার আর্মির দৃষ্টি সরাতে আরাকান আর্মি পার্শ্ববর্তী ম্যাগওয়ে, বাগো এবং আইয়ারওয়াদি অঞ্চলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে। ওইসব এলাকায় মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অস্ত্রের কারখানা রয়েছে। আরাকান আর্মি সেইসব এলাকার পিপলস ডিফেন্স ফোর্সকে তাদের অস্ত্র এবং প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমনে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের চকপিউ টাউনশিপে মিয়ানমার জান্তার নৌঘাঁটিতেও হামলা চালাচ্ছে । চকপিউতে চীনের তেল ও গ্যাস পাইপলাইন, একটি গভীর সমুদ্রবন্দর এবং একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ চীনের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প রয়েছে। সম্প্রতি জান্তা সরকার মিয়ানমারে চীনের স্বার্থ রক্ষার জন্য চীনা বেসরকারী সুরক্ষা সংস্থাগুলিকে মিয়ানমারে মোতায়েন করার বিষয়ে প্রাইভেট সিকিউরিটি সার্ভিসেস আইন পাস করে। এই আইন পাসের পর চকপিউতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষ শুরু হয়। মিয়ানমার সেনাবাহিনীও সিতওয়ে এবং এর আশেপাশের এলাকায় বিমান আক্রমণ চালাচ্ছে যাতে আরাকান আর্মির আক্রমণ প্রস্তুতি বাধাগ্রস্থ হয়।
বাকি শহরতলীগুলো আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নেয়ার পাশাপাশি আরাকান আর্মি এখন রাখাইনে তাদের জয়কে সুসংহত করার উদ্যোগ নিয়েছে। আরাকান আর্মি তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন রাখাইনের অন্যান্য এলাকায় জনসংখ্যার পুনর্বিন্যাস করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের থেকে জানা যায় যে, আরাকান আর্মি স্থানীয় রোহিঙ্গাদেরকে এলাকা ছাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে এবং অনেকের থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে থাকার অনুমতি দিচ্ছে, একই সাথে তারা রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে আসতেও উৎসাহিত করেছে। ফলে অনেক রোহিঙ্গা রাখাইন ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এবং বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মতো আরাকান আর্মিও রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এই কর্মকাণ্ড থেকে অনেকে ধারনা করে যে, আরাকান আর্মি চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে রোহিঙ্গা মুক্ত রাখাইন, তবে আরাকান আর্মি এটা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে রাখাইনের ভেতরে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের সংগঠনগুলো তেমন কিছুই করতে পারছেনা।
রাখাইন অঞ্চলে বর্তমানে প্রচুর পরিমান অস্ত্র রয়েছে। আরাকান আর্মির কাছেও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ আছে। নিজস্ব অস্ত্রের পাশাপাশি তাদের কাছে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিশাল মজুদ রয়েছে। আরাকান আর্মি, ইউনাইটেড পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (ইউ পি ডি এফ) এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জন সংহতি সমিতির (জেএসএস) সাথে যোগাযোগ করছে। আরাকান আর্মি দখলে থাকা এলাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্র পাচার হচ্ছে বলে জানা যায়। রাখাইনের চলমান এই সংকটের কারণে সামনের দিনগুলোতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল আবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। এটি বাংলাদেশের পাশাপাশি এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে।
আরাকান আর্মি চলমান পরিস্থিতির রাজনৈতিক সমাধান চায়, মিয়ানমার সরকার যদি তাতে সম্মত না হয় তাহলে পুনরায় সংঘর্ষ শুরু হবে এবং ফলশ্রুতিতে এই অঞ্চল আবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে চীন মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ) এবং তায়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এর সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতা করছে। যুদ্ধবিরতি সফল হলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে শুধুমাত্র আরাকান আর্মিকে মোকাবেলা করতে হবে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ কৌশল বিবেচনায় নিলে এই পরিস্থিতিতে তারা রাখাইন পুনরুদ্ধারে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে পুনরায় আক্রমণ শুরু করতে পারে। বর্তমানে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে নিয়মিত সরবরাহে বাধা প্রদান করায় রাখাইনে মানবিক সংকট চলছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত রাখাইনে সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা ২১টি ক্যাম্প ও কয়েকটি গ্রামে রয়েছে। সংঘাতে নতুন করে রাখাইনরাও বাস্তুচ্যুত হচ্ছে এবং রাখাইন অঞ্চলে চলমান মানবিক সংকটের উপর চাপ ফেলছে। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এবং তা মোকাবেলায় মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশকেও প্রস্তুতি নিতে হবে।
মিয়ানমারের চলমান সংকটে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। রাখাইন মিয়ানমার সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকার সময়ও মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির রেশ ধরে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি, বাংলাদেশের নাগরিকের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কে ছিল এবং তাদের জীবন-জীবিকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটেছে সে সময়। বিজিপি ও মিয়ানমারের সৈনিক ও কর্মকর্তারা আরাকান আর্মি হামলার শিকার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেয়। সেসময় বাংলাদেশ প্রতিশোধ মুলক কোন পদক্ষেপ নেয়নি এবং এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য কূটনৈতিক উপায় ব্যবহার করে।
বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। আরাকান আর্মি এখন রোহিঙ্গাদেরকে রাখাইন ছাড়তে বাধ্য করছে, রোহিঙ্গাদের জমি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তাদেরকে গৃহহীন করছে, এর ফলে বাংলাদেশের ভেতরে রোহিঙ্গাদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বোমার শব্দে সীমান্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এবং সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৬০ হাজারের মতো নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ পণ্য আনার সময় সিতওয়েতে মিয়ানমার সরকার ও নাফ নদের সীমান্ত অতিক্রমের সময় আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। সীমান্ত পথে মাদক, অস্ত্র চোরাচালান ও মানব পাচার চলছে। স্থল ও সমুদ্র এলাকায় আরাকান আর্মি সৃষ্ট গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। আরাকান আর্মি বাংলাদেশি জেলেদেরকে অপহরণ করছে এবং বাংলাদেশ বন্দরের দিকে আসা পণ্যবাহী জাহাজ আটক করছে, তাই কোনভাবেই এই পরিস্থিতিকে ভাল বলে যাবে না। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ মিয়ানমার সরকার ও আরাকান আর্মির সাথে যোগাযোগ রাখছে। সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে কক্সবাজারে বিজিবির উখিয়া ব্যাটালিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা নাফ নদ এবং সীমান্ত সড়কে টহলে রয়েছে এবং তারা সীমান্তে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে দেরিতে হলেও আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশ যোগাযোগ শুরু করেছে। প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই-রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান জানায় যে, আরাকান আর্মির সাথে বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ করেছে। তার দায়িত্ব নেয়ার পর মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা সংকট সংক্রান্ত অনেক কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আরাকান আর্মির সাথে আলোচনার আগে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত জুলিয়া বিশপের সাথে বৈঠকের সময় জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মির জন্য একটি বিবৃতির খসড়া তৈরি করা হয়। সেখানে আরাকান আর্মিকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে নিজের স্বার্থ রক্ষায় যাদের সাথে কাজ করার দরকার বাংলাদেশ তা করবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরাকান আর্মির কাছে জানানো হয়েছে যে, সম্মানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদেরকে রাখাইনে ফেরত নিতে হবে। রাখাইন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেবে বলে আরাকান আর্মি আশ্বাস দিয়েছে বলে জানা যায়। রাখাইনে পণ্য সরবরাহ এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশের বিকল্প তেমন একটা নেই। ভারতের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম চালানো সহজ নয়। রাখাইনের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা খাতে রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি হলে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরি হবে এবং আন্তর্জাতিক মহলে তা স্বীকৃতি পাবে। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে ১০৬টি দেশের উদ্বেগ আছে এবং এ নিয়ে ২০২৫ সালেই একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
রাখাইনকে স্থিতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বাড়তে পারে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরাকান আর্মিকে সক্রিয়ভাবে রাখাইনে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। একই সাথে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ, তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত ও সমাজে একিভুত করার উদ্যোগ নিতে হবে। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দক্ষ কূটনীতি অনুসরণ করার পাশাপাশি এর সমর্থনে সামরিক শক্তি এবং হুমকি নিরসনমুলক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এন ডি সি, এ এফ ডব্লিউ সি, পি এস সি, এম ফিল (অবঃ)
মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা বিষয়ক গবেষক
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।