শফিকুল ইসলাম: রৌমারীতে সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলে আরিফ হোসেন (২২) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা।
![]() |
রৌমারীতে শ্বাসরোধ করে আরিফ হোসেন (২২)কে হত্যা করে লাশটি সোনাভরী নদীর তীরে নৌকার উপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায় খুনীরা। পরে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। |
লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঘটশনিবার (১৫ মার্চ) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরের গ্রাম এলাকায়। নিহত আরিফ হোসন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কথিত বড়ভাই সুরুতজামানের ছোট ছেলে।
নিহতের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন অভিযোগ কওে বলেন, পূর্ব শত্রæতার জেরধরে আমার ছোট ভাইকে সুপরিকল্পিত ভাবে শ^াসরোধ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় খুনিরা। একই গ্রামের কুখ্যাত খুনি আজাদের সাথে বালু ব্যবসা ও আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। আমার ধারনা তারাই এই হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত।
আরও পড়ুন:
পুলিশ স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরের গ্রামের সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বড় ভাই সুরতজামালের ছেলে ভাতিজা আরিফ হোসেন (২২) ও একই গ্রামের মুঞ্জিলের ছেলে কুখ্যাত খুনি আজাদ এর সাথে বালু ব্যবসা ও আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন আরিফকে ডেকে নিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় খুনিরা। তার গলায় মাফলার পেচানো এবং শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে খুনি আজাদ ও তার ছেলে ইমন সহ ৬/৭ জনকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ওই হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মোমিনুল ইসলাম বলেন, কি কারনে খুন হয়েছে সেটা এখনই জানানো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরো তদন্ত ও খোঁজখবর নিয়ে আসল ঘটনা উদঘাটন করে আপনাদের জানানো হবে।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।