সেবা ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত দুই দিন ধরে প্রচারিত অপপ্রচারকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।
![]() |
বিজিবি সদস্য নিখোঁজের গুজব ও উদ্ধার অভিযানের সত্যতা |
গুজবটিতে দাবি করা হয়েছিল, টেকনাফের নাফ নদীতে একটি অভিযানে গিয়ে ৩৩ জন বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। তবে প্রকৃত ঘটনায় নাফ নদীতে নয়, বরং টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের পশ্চিমপাড়া ঘাট সংলগ্ন সমুদ্রে রোহিঙ্গা উদ্ধার অভিযানের সময় এক বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন।
আরও পড়ুন:
বিজিবির বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, ২২ মার্চ ২০২৫ ভোররাতে শাহপরীরদ্বীপের কাছে একটি রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় উত্তাল সাগরে ডুবে যায়। স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় বিজিবি সদস্যরা তৎক্ষণাৎ উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করে। তবে উদ্ধার কাজের সময় সমুদ্রের প্রবল স্রোত ও অন্ধকারে একজন বিজিবি সদস্য পা পিছলে সমুদ্রে পড়ে নিখোঁজ হন।
বিজিবি সূত্রে জানানো হয়, ডুবে যাওয়া নৌকাটি উদ্ধার করা হয়েছে এবং নিখোঁজ সদস্য ও অন্যান্য রোহিঙ্গাদের খোঁজে সার্চ অপারেশন জোরদার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে "হৃদয়বিদারক" আখ্যা দিয়ে বিজিবি নিখোঁজ সদস্যের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো গুজবটিকে বিজিবি "ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক" বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জোরালোভাবে বলা হয়েছে, "৩৩ জন সদস্য নিখোঁজ হওয়ার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের অপপ্রচার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে চালানো হচ্ছে।"
শাহপরীরদ্বীপের স্থানীয় জেলেরা জানান, বিজিবি সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে এগিয়ে এসেছিলেন। এক জেলে বলেন, "সমুদ্র তখন খুব অশান্ত ছিল। বিজিবির সদস্যরা নিজেদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে আমাদের সঙ্গে নৌকায় উঠে উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন।"
নিখোঁজ বিজিবি সদস্য ও সম্ভাব্য আরও রোহিঙ্গাদের খোঁজে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় সার্চ অপারেশন চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বিজিবি তদন্ত করছে।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।