শফিকুল ইসলাম: রৌমারীতে ভিজিএফের স্লিপ চাওয়াকে কেন্দ্র করে রুপভানু নামের এক বৃদ্ধা মহিলাকে চড়-থাপ্পড় মারার অভিযোগের ৫ দিন পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
![]() |
রৌমারীতে বৃদ্ধাকে থাপ্পরের অভিযোগের ৫ দিন পর হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে রহস্য |
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। থাপ্পর মারার অভিযোগের ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার। রুপভানু উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বাগুয়ার চর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অর্থায়নে আসন্ন পবিত্র ঈদল ফিতর উপলক্ষে দুঃস্ত ও অতি দরিদ্র, অসহায় পরিবারের মাঝে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় খাদ্যশস্য প্রদানের লক্ষে বন্দবেড় ইউনিয়নের জন্য ৭ হাজার ৮’শ টি কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ৫নং ওয়ার্ডে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫’শ টি। প্রতি স্লিপর বিপরীতে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা। বন্দবেড় ইউনিয়নের মেম্বার শফিকুল ইসলাম তার বরাদ্দের নামের তালিকা চুড়ান্ত করেন এবং রুপভানুর নামের একটি স্লিপ রাখা হয়। চৌকিদার দিয়ে তার ওয়ার্ডের তালিকাভুক্ত নামের মানুষগুলোকে স্লিপ নেওয়ার জন্য ডাকা হয়। সেদিন রুপভানু অনুপস্থিত থাকায় তার ¯øীপটি মে¤া^র তার স্ত্রীর কাছে রাখে। পরের দিন বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে বাগুয়ারচর গ্রামের মৃত্যু মাজম আলীর স্ত্রী রুপভানু মেম্বারের বাড়িতে যান ¯øীপের জন্য। বৃদ্ধা রুপভানু মেম্বারের বাড়িতে গিয়েই মেম্বারের মাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ওই সময়ে মেম্বার পাশের একটি বাড়িতে শালিশে ছিলেন। রুপভানু গালিগালাজ পারতে পারতে শালিশী বৈঠক পর্যন্ত যায়। পরে মেম্বার বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। এরপরে বৃদ্ধা রুপভানুকে সাথে নিয়ে মেম্বার তার বাড়িতে যায় এবং চালের স্লিপটি দিয়ে দেন। এসময় আবারো মেম্বারের মাকে ওই বৃদ্ধা রুপভানু গালিগালাজ পারতে থাকে। তখন মেম্বার তাকে হাত ধরে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ওই দিনেই বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন স্বজনরা। ঘটনার ৫ দিন পর বুধবার সকালে বৃদ্ধা রুপভানু স্বাসকষ্ট জনিতরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ্য হলে তাকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই দিনেই বিকালে মেম্বারের নামে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা কহিনুর বেগম ও ছমিরন নেছা বলেন, বয়স্ক মহিলাটি মেম্বারের কাছে ¯øীপের জন্য এসে তার মায়ের সাথে ঝগড়া করেন। কিছুক্ষণ পরে মেম্বার বাড়িতে এসে তাকে ¯øীপ দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। মেম্বার মহিলার গায়ে হাত তুলতে আমরা দেখি নাই। ঝগড়ার সময়ে আমরা সেখানেই ছিলাম।
এ ব্যপারে মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, স্লিপ দিতে একটু দেরী হওয়ায় সে আমার বাড়িতে এসে আমার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ পারেন। তাই আমি তাকে বাড়ি থেকে হাত ধরে সড়িয়ে দিয়েছি। আমি তাকে থাপ্পর মারি নাই। এছাড়াও ওনাকে আমি প্রতি বছর পড়নের কাপড়, চালের নাম সহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে আসছি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।