জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুরের মেলান্দহে ডিসি পরিচয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে প্রতারক সাজ্জাদ হোসাইন সাকিবকে (৩৫) আটক শেষে কোর্টে সোপর্দ করেছে পুলিশ। ১৮মার্চ সকাল ১০টার দিকে তাকে চালান দেয়া হয়।
![]() |
মেলান্দহে ডিসি-এসপি’র পরিচয়ে আটক চাঁদাবাজকে আদালতে সোপর্দ |
আটককৃত প্রতারক ইসলামপুর উপজেলার পাটনিপাড়ার মৌজা জাল্লা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে বলে জানা গেছে। ১৭ মার্চ দুপুরে চারাইলদার এলাকাবাসি আটক শেষে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় বালু ব্যবসায়ী রোজউল করিম বাদি হয়ে ১৭ মার্চ দিবাগত রাতে মেলান্দহ থানায় মামলা (নং-১৮) করেন। ওদিকে সাকিবের লোকজন খবর পেয়ে মামলার বাদিকে থানা থেকে টেনে হেচড়ে বাইরে বের করার চেষ্টাও করা হয়।
আরও পড়ুন:
মামলার বাদি রেজাউল করিম জানিয়েছেন-এই প্রতারক ডিসি-এসপি এবং ইউএনও’র পরিচয়ে প্রায়ই ৩/৪ জনের একটি দল মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। একপর্যায়ে আমার কাছে সপ্তাহে ৩৩ হাজার টাকার চাঁদা দাবি করে। আরেকজনের কাছেও ৩৩ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে মোবাইল কোর্ট করা হবে। টাকা দিলে ডিসি-এসপি-প্রশাসন এমনকি সাংবাদিকরাও আসবে না। আর কেও আসলে বাইন্ধে রাখার পরামর্শ দিচ্ছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসির মনে সন্দেহ হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এলাকাবাসি তাকে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। এ সময় তার সাথে থাকা অন্য দুইজন পালিয়ে যায়।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটককৃত সাজ্জাদ হোসাইন নিজেকে ইসলামপুরের জামাত নেতা অধ্যাপক সামিউল হক ফারুকীর ভাতিজার পরিচয় দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার রুজু হয়েছে। মামলায় তার সহযোগি মনির হোসেন জুইস (৩৫)সহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ব্যাপারে জেলা জামাতের প্রচার ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক (প্রেস উইং) প্রভাষক জাকিউল ইসলাম জানিয়েছেন-অধ্যাপক ছামিউল হক ফারুকীর নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির কথা শুনেছি। বর্তমানে ফারুকী স্যার পবিত্র উমরা পালনের জন্য সউদীতে আছেন। এই নামে ফারুকীর ভাতিজা কিংবা জামাতে ইসলামি সংগঠনের কেও নেই।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।