আসমাউল আসিফ, জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে মসজিদের চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
![]() |
জামালপুরে মসজিদের চাঁদাকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতার হামলা, আহত ৭ |
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের হাসিল বটতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের সাত জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে জামালপুর সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের হাসিল বটতলা এলাকার হাসিল গৌরিপুর জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের সময় মসজিদের ভেতরে জোরপূর্বক মসজিদের মাসিক চাঁদা বৃদ্ধির জন্য ওই এলাকার বাসিন্দা ভ্যান চালক চাঁন মিয়াকে চাপ দেন মেষ্টা ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি ও মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা আমজাদ মিয়া।
আরও পড়ুন:
বিএনপির নেতা মাসিক চাঁদা একশ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে দেড়শ টাকা প্রদান করার জন্য বললে চাঁন মিয়া অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় হাসিল গৌরিপুর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক চাঁদার বিষয়ে চাঁন মিয়ার পক্ষ নিলে বিএনপি নেতা আমজাদ মিয়ার সাথে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ের চাঁদার বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে সন্ধ্যার দিকে সমজিদ কমিটির সভাপতি ও তার দুই ভাই ইফতার সামগ্রী কিনে বাড়ী ফেরার পথে মসজিদের কিছুটা অদূরে তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। মেষ্টা ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি আমজাদ মিয়া, তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন, ভাতিজা মুন্না ও আবু সাইদসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক, তার ভাই সোহেল রানা ও সোহাগ রানার ওপর অতর্কিত হামলা করে গুরুত্বর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
হামলায় আহত মসজিদ কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমজাদ মিয়া জোরপূর্বক মসজিদের মাসিক চাঁদার জন্য এলাকার বাসিন্দা চাঁন মিয়াকে জুলুম করে। এই ঘটনায় আমজাদ মিয়াকে বাধা দিলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সন্ধ্যায় ইফতার নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে আমজাদ মিয়া, তার ভাই রফিকুল ইসলাম, মোফাজল হোসেন, তার ভাতিজা মুন্না, আবু সাইদসহ অনন্যারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। আমরা এই ঘটনায় মামলা দায়ের করব।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপি সহ সভাপতি ও মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা আমজাদ মিয়া বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন পরিশোধের জন্য চাঁদার হার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু চাঁন মিয়া বর্ধিত চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তার পক্ষ নেয়ায় রফিকুল ইসলাম রফিকের সাথে আমার তর্কবিতর্ক হয় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর জেরে সন্ধ্যার দিকে আমার লোকজন তাদের উপর হামলা করে, যা অনাকাঙ্খিত। পরে তারাও হামলা চালায়, এ সময় আমার ভাই ও ভাতিজাসহ চার জন আহত হয়েছে। কিন্তু হামলার সময় আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম না।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো: আতিক জানান, এই ঘটনার ব্যাপারে জানি না, কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।