জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চাকুরী জীবনে অনেকের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সিন্ডিকেট ষড়যন্ত্রের শিকার জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ( ইনচার্জ) মোঃ সানোয়ারুল হক।
![]() |
কুড়িগ্রামে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিন্ডিকেট ষড়যন্ত্রের শিকার এক ব্যাংক কর্মকর্তা |
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ( ইনচার্জ) মোঃ সানোয়ারুল হক একজন সৎ নিষ্ঠাবান কর্মদক্ষ মেধাবী ব্যাংক কর্মকর্তা । তিনি ২০১০ সালের জুন মাসে জনতা ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদান করেন ।
আরও পড়ুন:
তার সততা নিষ্ঠা কর্মদক্ষতার কারণে জনতা ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন প্রশাসন তাকে মাত্র ১৬ বছরের চাকুরী জীবনে পদোন্নতি দিয়ে শাখা ব্যবস্থাপক করেন । তিনি জনতা ব্যাংকের পাটগ্রাম ব্রাঞ্চে দায়িত্ব নিয়ে ২০১২-১৪ অর্থবছরে পাটগ্রাম ব্রাঞ্চ কে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন । তিনি জনতা ব্যাংকের উলিপুর ব্রাঞ্চে দায়িত্ব নিয়ে ৩ বছরে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা মুনাফা অর্জন করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন । অথচ জনতা ব্যাংকের উলিপুর ব্রাঞ্চ তার দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে ৯৮ লক্ষ টাকা লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল । তিনি জনতা ব্যাংকের উলিপুর ব্রাঞ্চকে বি গ্রেড থেকে এ গ্রেডে উন্নীত করেন ।তিনি জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে দায়িত্ব নিয়ে ২০২৪ সালে কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখায় ১ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা মুনাফা লাভ করেন যা পূর্বের বছরের তুলনায় ৫০ লক্ষ টাকা বেশি । জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ( ইনচার্জ) মোঃ সানোয়ারুল হক বিভিন্ন সময় ব্যাংকের অডিট কার্যক্রম এ যুক্ত থাকায় জনৈক ব্যাংক কর্মকর্তা চেক মিসিং এর কারণে অভিযুক্ত সাব্যস্ত হন । মোঃ সানোয়ারুল হক এর দায়িত্ব নিষ্ঠা ও সততার কারণে জনৈক ব্যাংক কর্মকর্তা বাড়ি নির্মাণ না করেও ঋণের আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করা হয় । সেই সাথে অনেকে জনতা ব্যাংকে বিভিন্ন সময় ব্যাংকের নীতিমালা অমান্য করে ঋণের আবেদন করলে শর্তপূরণ না হওয়ায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের আবেদন গুলির নামঞ্জুর করে । এই সকল নানাবিদ কারণে জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ( ইনচার্জ) মোঃ সানোয়ারুল হক এর বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী ষড়যন্ত্রকারী সিন্ডিকেট । যারা বর্তমান সময়ের সরকারকে কাজে লাগিয়ে সৎ নিষ্ঠাবান ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ সানোয়ারুল হককে নাজেহাল করতে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভুয়া অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে দিয়ে তাকে হয়রানি করে আসছে ।
এসব বিষয়ে সানোয়ারুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ এটি আমার কণ্ঠ নয়। আমি এমন কোনো কাজের সাথে জড়িত নই। আমার চলাফেরা অতি সাধারণ। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জনতা ব্যাংকের কুড়িগ্রাম কর্পোরেট শাখার আমানত বেড়েছে।’ তিনি আরো বলেন,‘ আমি পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেছি। সে সময় আমি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবের তিনি আরো বলেন, আমি যদি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকতাম। তাহলে ওই দলের কমিটিতে আমার নাম থাকতো ।
সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।