কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: কোন নীতির তোয়াক্কা না করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীতে চলছে অবাধে জাটকা নিধন।
![]() |
কাজিপুরে যমুনায় চলছে অবাধে জাটকা নিধন |
উপজেলা মৎস্য অফিসের নিষ্ক্রিয়তায় দিনরাত সমান তালে যমুনার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে জাটকা শিকার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জাটকা নিধনের প্রধান ঘাট হচ্ছে করে কাজিপুর সদর ইউনিয়নের বগার মোড় এলাকা।
এক শ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবি চেলি বেড়জাল, কারেন্ট জাল ও কোনাজাল ব্যবহার করে ছোট ছোট ইলিশ ধরছেন। কোন রকম রাখঢাক না করে প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন হাটে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। মাঝে মাঝে দু’একটা অভিযান চললেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
সরেজমিন উপজেলার মেঘাই ঘাট এলাকায় মাছের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা গেছে প্রকাশ্যে এসব জাটকা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। এখান থেকে সেই মাছ উপজেলার ঢেকুরিয়া, সোনামুখী, সিমান্তবাজারসহ ছোট ছোট বাজারেও বিক্রি হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক জেলে জানিয়েছেন জাটকা আহরনে উপজেলা মৎস্য অফিসের যোগসাজস রয়েছে। আমরা খবর পৌঁছালেও তিনি গা করেন না।
কাজিপুর উপজেলা মৎস্য অফিসারের পদটি ফাঁকা রয়েছে প্রায় চার বছর যাবৎ। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে তখন থেকে আছেন হাসান মাহমুদুল হক। এরপর তিনি ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে হাসান মাহমুদুল হক নিজের অফিসের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, জানেনতো সবতো আর ঠেকানো যায়না। তাছাড়া নৌ পুলিশের সহায়তা চেয়ে পাওয়া যায়না। আর সময় খারাপ, থানা পুলিশও তেমন মুভ করতে চায়না। এদিকে স্থানীয় প্রকৃত জেলেরা জানিয়েছেন এসময়ে জাটকা ধরা বন্ধ করা গেলে এবার যমুনায় বড় ইলিশ পাওয়া যেতো। তারা জাটকা নিধন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।