কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: লিখি আক্তার। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের খাশজোরগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনি সহকারি শিক্ষিকা।
![]() |
শিক্ষকতা করেন কাজিপুরের চরাঞ্চলের স্কুলে- থাকেন ঢাকার কর্মজীবি হোস্টেলে |
গত ২০২০ সালের ৮ মার্চ তিনি ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। আর যোগদানের পর থেকে তিনি বসবাস করে আসছেন রাজধানী ঢাকার কর্মজীবি হোস্টেলে। মাসে দুই থেকে তিনদিন তিনি বিদ্যালয়ে যান। গিয়ে হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর করে আবার ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় থেকে তিনি অন্যান্য চাকুরির জন্যে দরখাস্ত ও পরীক্ষায় অংশ নেন বলে জানা গেছে। ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তার বড় বোন। তারই ছত্রছায়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও পার পেয়ে যাচ্ছেন।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওই শিক্ষিকা সম্প্রতি ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন বলে শিক্ষা অফিসসুত্রে জানা গেছে।
সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, লিখি আক্তার একটি ছুটির দরখাস্ত লিখে তার বড়বোন ও ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রুপা আক্তারের নিকট রেখে দেন। ওই বিদ্যালয়ে এসে কেউ লিখি আক্তারের খোঁজ নিলে প্রধান শিক্ষিকা ছুটির দরখাস্ত দেখান। এমনটি জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের পাশে বসবাসকারি শিক্ষার্থী অভিভাবক ও সাবেক ইউপি সদস্য দুলাল, মুকুল মাস্টার ও দুলাল চাকলাদার ।
ইউপি সদস্য দুলাল জানান, বিদ্যালয়ের পরিবেশ একেবারে নষ্ট করে ফেলেছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও তার বোন। তারা ঠিকমতো স্কুলে আসে না। শুনেছি লিখি ম্যাডাম থাকেন ঢাকার কর্মজীবি হোস্টেলে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তাদের লিখি ম্যাডাম নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। মাঝে মাঝে আসেন।
]বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রুপা আক্তার বোনের পক্ষে নোর্টিশ গ্রহণের কাত স্বীকার করে জানান উনি (লিখি আক্তার) এসে এর জবাব দেবেন।
সহকারি শিক্ষিকা লিখি আক্তারকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
ওই ক্লাস্টারের সহকারি শিক্ষা অফিসার আবু সাইদ জানান, লিখি আক্তারের বিষয়ে জানতে পেরে তাকে শোকজ করেছি। ১৫ দিনের মেডিকেল ছুটিতে থাকায় লিখি আক্তারের পক্ষে তার বোন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রূপা আক্তার বোনের পক্ষে শোকজপত্র গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৩ তারিখে লিখি আক্তার বিদ্যালয়ে যোদদান করলে তিনি শোকজের জবাব দেবেন।
কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পরেই আমি আমার সহকারি শিক্ষা অফিসারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।