কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে এক কৃষকের ৮ বিঘা জমিতে সেচকাজ বন্ধ রেখেছে বিএনডিসির সেচ সংযোগ গ্রহিতা আমজাদ হোসেন সোহরাব।
![]() |
কাজিপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে কৃষকের ৮ বিঘা জমি সেচবঞ্চিত |
বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবে সালিশী বৈঠকে সেচ দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখছেন না ওই সেচ সংযোগ গ্রহিতা। আসন্ন বোরো মৌসুমে ওই সেচ পাম্পের আওতায় সব জমিতে সেচ দিলেও পানির অভাবে এখনো অনাবাদী পড়ে রয়েছে ভুক্তভোগী কৃষকের ৮ বিঘা জমি। অবশেষে প্রতিকার চেয়ে কাজিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলার পারুলকান্দি গ্রামের আব্দুস সামাদ মন্ডলের পুত্র মিজানুর রহমান সুইট।
প্রতিকার চেয়ে গত শনিবার কাজিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোক করেছেন কৃষক মিজানুর রহমান সুইট। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃষক মিজানুর রহমান ও আমজাদ হোসেন সোহরাব পরস্পর আত্মীয় ও প্রতিবেশি। দশ বছর পূর্বে সরকারি নিয়ম মেনে গ্রামের দক্ষিন পাশে তারা একটি অগভীর নলকূপের সংযোগ নিয়ে সেচকাজ পরিচালনা করে আসছেন। গত বছর পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রোপা আমন মৌসুমে আমজাদ হোসেন সোহরাব তার প্রতিবেশি মিজানুর রহমান সুইটের জমিতে সেচ প্রদান বন্ধ করে দেয়। তখন সুইট কাজিপুর উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি দরখাস্ত করেন। কিন্তু তখন বৃষ্টি হওয়ায় আর সেচের প্রয়োজন না পড়ায় বিষয়টিরও সুরাহা হয়নি। এবছর বোরো মৌসুমের শুরুতেই আমজাদ হোসেন সোহরাব অন্য সব জমিতে পানি দিলেও মিজানুর রহমান সুইটের জমিতে সেচ প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গ্রাম্যভাবে বৈঠকে সেচ প্রদানের কথা স্বীকার করলেও সুইটের জমিতে পানি দেননি। ফলে বোরোচাষ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কৃষক সুইট।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে উভয়পাশের জমিতে বোরোধান লাগলেও খালি পড়ে রয়েছে কৃষক মিজানুর রহমান সুইটের জমি।
জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদ হোসেন সোহরাব বলেন, দশ বছর যাবৎ সেচ দেই। কিন্তু ঠিকমতো টাকা দেয় না। দিলেই সেচ দেবো। তবে কত টাকা তিনি পাবেন সেটা বলতে পারেননি।
কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।