সেবা ডেস্ক: ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে সম্প্রতি সংঘটিত ভাঙচুরের ঘটনাকে উসকানিমূলক হিসেবে চিহ্নিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের দায় শেখ হাসিনার উপর চাপালো অন্তর্বর্তী সরকার |
সরকারি বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, পলাতক শেখ হাসিনার প্ররোচনামূলক বক্তব্য এই সহিংসতার মূল কারণ। গত জুলাই মাসে "জুলাই গণঅভ্যুত্থান" নিয়ে তার বিতর্কিত মন্তব্যের পর থেকেই জনরোষ তৈরি হয় বলে সরকার দাবি করেছে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে শেখ হাসিনার মন্তব্যকে দুটি ভাগে বিশ্লেষণ করেছে সরকার। প্রথমত, শহিদদের প্রতি অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করে তিনি গণঅভ্যুত্থানকে হেয় করেছেন। দ্বিতীয়ত, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও তিনি হুমকির সুরে কথা বলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের ঐতিহ্যবাহী বাসস্থান হিসেবে পরিচিত। শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন এ বাড়িটিতে বসবাস করেছেন। ২০০৭-২০০৮ সালের অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও এ বাড়িটি বিতর্কের কেন্দ্রে ছিল। এবারের ভাঙচুরের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। তবে শেখ হাসিনা যদি মানবতাবিরোধী অপরাধ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বন্ধ না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বিবৃতিতে ভারত সরকারকেও উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা যেন তাদের ভূখণ্ড থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সুযোগ না পান। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ইস্যুটি এই প্রসঙ্গে পুনরায় আলোচনায় এসেছে।
জুলাই মাসের গণহত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে সরকার। এছাড়া, ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।