সেবা ডেস্ক: চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে তাফসির মাহফিলে ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, দুর্নীতিবাজদের ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী প্রকাশ্যে হাত কাটা উচিত।
ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী দুর্নীতিবাজদের শাস্তি নিয়ে আজহারীর মন্তব্য |
চট্টগ্রামের প্যারেড গ্রাউন্ডে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক তাফসির মাহফিলে প্রধান বক্তার বক্তব্যে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, দেশের সম্পদ উন্নয়নের নামে লুটপাটকারীদের ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “উন্নয়নের নামে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা হারিয়ে গেছে, এটি চুরি হয়েছে। ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী চুরির শাস্তি হলো প্রকাশ্যে হাত কেটে ফেলা। তাদের হাত কেটে ফেলা উচিত।”
সরকারের কঠোর সমালোচনা
আওয়ামী লীগ সরকারকে কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “পিলখানা ট্র্যাজেডিতে বিডিআর সদস্যদের অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করা হয়েছিল। অনেকে তাদের ছয় মাস বয়সী কন্যাকে রেখে কারাগারে গিয়েছিল। যখন তারা বেরিয়ে এল, তখন তাদের মেয়ে ১৭ বছরে পা দিয়েছে। তার বাবা কখনো এই মেয়েটির শৈশব, কৈশোর বা যৌবন দেখেনি। এখন সে বিয়ের উপযুক্ত বয়সে পৌঁছেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশে অন্যায় দেখতে চাই না। আমরা প্রতিশোধমূলক রাজনীতি চাই না। একটি দল আরেকটি দলকে নিশ্চিহ্ন করার রাজনীতি করুক, তা আমরা দেখতে চাই না। আমরা সুশাসন ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন একটি বাংলাদেশ চাই।”
মাহফিলে জনতার ঢল
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে ২৯ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের এবারের আসর জনতার বিপুল উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ইসলামি সমাজ কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে মাহফিলের সূচনা হয়।
প্রথম দিনে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন। পাঁচ দিনব্যাপী এই মাহফিলের শেষ দিনে, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি), প্রধান অতিথি হিসেবে বয়ান করেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
তার বয়ান শুনতে সকাল থেকেই হাজারো মানুষের ঢল নামে প্যারেড ময়দানে। জুমার নামাজে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণে গোটা এলাকা পরিণত হয় ঈদের জামাতের পরিবেশে। আসরের নামাজের আগেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়, আর মাগরিবের পর পুরো প্যারেড ময়দানে দাঁড়ানোর মতো জায়গা পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল না।
এছাড়া, অতিরিক্ত উপস্থিত মুসল্লিরা প্যারেড ময়দান সংলগ্ন চকবাজার তেলিপট্টি মোড়, এক্সেস রোড ও অঁলিখা মোড় থেকে গণি বেকারির মোড় পর্যন্ত রাস্তা ভরে যান। মাহফিলের সফল সমাপ্তির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে ইসলামিক আলোচনা ও কোরআনের তাফসিরের প্রতি জনগণের গভীর আগ্রহের চিত্র ফুটে ওঠে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।