শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত এলাকায় আবারো বন্যহাতির তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
রৌমারী সীমান্তে আবারো বন্যহাতির তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি |
হাতির দল প্রতিবছর এভাবে ফসলের ক্ষতি করলেও ব্যবস্থা নেয়নি বডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসন। বন্যহাতির তান্ডবে আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্ত এলাকার বাসিন্দা। গত শনিবার দিনগত রাত ২ টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেষা আলগার চর সীমান্তে এই তান্ডবের ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভারতীয় সীমান্ত পিলার ১০৭১-১০৭২ দিয়ে রাতের অন্ধকারে ভারতীয় ২৫-৩০ বন্য হাতির একটি একদল আলগারচর গ্রাম এলাকায় প্রবেশ করে। পরে একের পর এক ভুট্টাক্ষেতে তান্ডব চালায়। এতে প্রায় ৮ একর জমির বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রবিউল ইসলামের ১ একর, ছফিউল ইসলামের ১ একর, আজিবর রহমানে সরিষা ও ভ‚ট্রা দেড় একর, বদিউজ্জামানের ১ একর, সৈয়দ জামানের ৩৩ শতক ভুট্টা সহ প্রায় ৮ একর ভুট্টা আবাদ ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছরেই ভারতের বন্যহাতির তান্ডবে সীমান্ত এলাকার শতশত জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতি করছে।
এবিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রবিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছরই ভারতীয় বন্যহাতি এসে আমাদের ফসলের ক্ষতি করে। ফসল উৎপাদনে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। এটার উপর আমাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তবে হাতির তান্ডবে প্রতি বছর ব্যাপক ক্ষতি হয়। উপজেলা প্রশাসনিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে নিলেও কোন সহযোগিতা পাই না। হাতিরদল যাতে না আসে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী বলেন, শনিবার দিনগত রাতে ভারতীয় বন্যহাতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। খবর পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরিপের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল। জরিপ শেষে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।