জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: দেশের উত্তরের সীমান্তঘেষা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা। এক সময়ের খরস্রোতা ধরলা-বারোমাসিয়া নদীসহ বিভিন্ন নদ-নদী জমে ছিল প্রচুর পানি। সেগুলো এখন শুকিয়ে সবুজ ফসলের মাঠ পরিণত হয়েছে চরের জমি। চর জেগে ওঠা পলিমাটিতে বাম্পার ফলন উৎপাদন করছেন কৃষক। এতে অতিরিক্ত আয় পাবেন এ অঞ্চলের চাষীরা।
কুড়িগ্রামে খরস্রোতা ধরলা-বারোমাসিয়া নদীবুকে সবজির সমারোহ ফসল ফলায় কৃষক খুশি |
জানা গেছে, এক থেকে দেড় যুগ আগেও পানির প্রবাহ ও প্রাণের স্পন্দন ছিল ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীতে। এই দুই নদীর প্রবল স্রোতের কারণে আঁতকে উঠতো নদী পাড়ের হাজারও বাসিন্দার। এখন পানি না থাকায় ধরলা ও বারোমাসিয়া নদীতে ছোট বড় প্রায় দুই থেকে আড়াই শতাধিক চরের সৃষ্টি হয়েছে। বন্যার সময় দুই-তিন মাস বাদে বছরের বাকিটা সময় নদীর বুক চিরে পুরোদমে চলছে চাষাবাদ। সীমান্তঘেঁষা এই নদী দুইটি এখন অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র আয়ের প্রধান উৎস। নদী শুকিয়ে যাওয়া এখন জীবন-জীবিকায় কৃষি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
এসব নদ-নদীর বুকে তীরবর্তী চাষিরা টানা দেড় যুগ ধরে বোরো ধান, ভুট্টা, বাদাম, কলা, মরিচ, বেগুন, টমেটো, বাঁধা -কপি, সরিষা, আলু করলাসহ নানা মূখী ফসলের চাষাবাদ করে আসছেন। নদীতে পানির ধারণক্ষমতা না থাকায় বর্ষাকালে অল্প বৃষ্টিপাতে বন্যা হয়ে যায়। ফলে বছরে দুই বার চাষবাদ করা গেলেও এখন আবহাওয়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে তিন-চার ফসল ফলাতে পারছে কৃষক। এতে করে বর্ষা কাটিয়ে খরা মৌসুমের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষক।
উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কৃষ্ণানন্দ এলাকার ওসমান আলী জানান বারোমাসিয়ার তীরে দুই বিঘা জমিতে বেগুনের চাষাবাদ করেছি। এই বেগুন ক্ষেত থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আয় হয়েছে। আশা করছি আরো বেশ কিছুদিন বেগুন বিক্রি হবে।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, ধরলা ও বারোমাসিয়াসহ নদীর অববাহিকায় এবার ১১৫ হেক্টর আলু, ১০ হেক্টর মরিচ, বাঁধা -ফুলকপি ২৫ হেক্টর,বেগুন ১৫ হেক্টর, সরিষা ২৫ হেক্টর, ভুট্টা ৯৫০ হেক্টর, ডাল ১৫ হেক্টর, বাদাম ১৫ হেক্টর কলা ৮০ হেক্টর ও টমেটো ১০ চাষাবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় চরাঞ্চলের এ সকল ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।