সেবা ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগ ও সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন টিউলিপ সিদ্দিক।
পদত্যাগ করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক |
সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের ইকোনোমিক সেক্রেটারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক। বাংলাদেশে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক এক টুইট বার্তায় এ সিদ্ধান্ত জানান।
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে তাঁর ওপর ছিল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো নিয়ে রাজনৈতিক মহল এবং গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।
শেখ হাসিনা ও টিউলিপের সম্পৃক্ততার অভিযোগ
গত আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। তাঁর আমলে ৯টি বড় অবকাঠামো প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এতে শেখ হাসিনার পাশাপাশি টিউলিপ সিদ্দিকের নামও আলোচনায় আসে।
দুদকের তদন্তের পর এই ঘটনা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসে। ২০১৩ সালে মস্কো সফরের সময় শেখ হাসিনার সঙ্গে টিউলিপের একটি ছবি ব্রিটিশ গণমাধ্যমে আলোচিত হয়। এ নিয়ে বেশ কয়েকজন বিরোধী দলীয় নেতা টিউলিপকে বরখাস্ত করার দাবি জানান।
টিউলিপের পদত্যাগ ও চিঠি
টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা লাউরি ম্যাগনাসের কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন। মন্ত্রীদের নীতি-নৈতিকতা এবং আচরণের মানদণ্ডের বিষয়ে ম্যাগনাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
টিউলিপের পদত্যাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার ওপর আনা সব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন। তাই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।”
রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত?
টিউলিপের পদত্যাগের পর রাজনৈতিক মহলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী দলের নেতারা দাবি করছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ তাঁর দায় স্বীকারেরই ইঙ্গিত। তবে তাঁর সমর্থকরা মনে করেন, তদন্তের সুষ্ঠু সুযোগ দিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।