সেবা ডেস্ক: রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট এড়াতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত। চাল, ডাল, পেঁয়াজ, খেজুরসহ ১১টি পণ্যের আমদানির তথ্য ও বিশ্লেষণ।
রমজানে ভোগ্যপণ্যের সংকট হবে না: পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত |
রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট এড়াতে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীরা একযোগে কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় ১১টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজ শর্তে আমদানি করা হয়েছে। এর ফলে ভোগ্যপণ্যের ঘাটতির আশঙ্কা নেই।
সরকারি তথ্যানুসারে, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, গম, ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর সহ মোট ১১টি পণ্য ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে।
- ছোলা ও খেজুরের চাহিদা মেটাতে:
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ২ হাজার ১৮৬ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছে, যা নভেম্বরে ছিল মাত্র ৬৫৪ মেট্রিক টন। ছোলার আমদানি হয়েছে ২৬ হাজার ৩৬৭ মেট্রিক টন। - পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে:
গত বছরের তুলনায় পেঁয়াজ আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৪৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
এলসি খোলার ক্ষেত্রে সহজ শর্ত এবং সুদের হার কমানোর কারণে ব্যবসায়ীরা নিরবচ্ছিন্নভাবে পণ্য আমদানি করতে পারছেন। এর ফলে রমজান মাসে সরবরাহ চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, "সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে।"
এদিকে, চালের দাম বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, "মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে চালের দাম বেড়েছে। বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।"
সরকার আমদানি উদারীকরণ নীতিতে যাচ্ছে। ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, "রমজান মাসে কোনো পণ্যের সংকট হবে না। পণ্য আমদানি ও সরবরাহে ব্যবসায়ীরা এবং সরকার সচেষ্ট।"
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।