সেবা ডেস্ক: জুমার দ্বিতীয় আজানের প্রবর্তন করেন ওসমান (রা.)। ইসলামের ঐতিহ্য অনুসারে, জুমার নামাজের গুরুত্ব ও প্রস্তুতির জন্য এটি চালু করা হয়েছিল।
জুমার দ্বিতীয় আজান: কে, কখন ও কেন চালু করেন |
জুমার দিনকে ইসলাম ধর্মে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়। পবিত্র কোরআনে জুমা নামক একটি স্বতন্ত্র সূরা নাজিল হয়েছে, যা জুমার দিনের মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রমাণ করে।
জুমার নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন:
"যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা বন্ধ কর।" (সূরা জুমা, আয়াত ৯)।
জুমার দ্বিতীয় আজানের প্রবর্তন
প্রথম দিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবু বকর (রা.), ও ওমরের (রা.) যুগে জুমার জন্য একটি আজান ও ইকামত প্রচলিত ছিল। ইমাম যখন মিম্বরে বসতেন, তখন আজান দেওয়া হতো।
তবে ওসমান (রা.)-এর খেলাফতের সময় মুসলমানদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলে, মুসলমানদের জুমার প্রস্তুতির জন্য একটি অতিরিক্ত আজান চালু করা হয়। এটি ছিল মূল আজানের আগে বাজারে প্রদত্ত প্রথম আজান।
ইসলামের প্রখ্যাত গ্রন্থ সহিহ বুখারি এবং সুনানে আবু দাউদে এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করা হয়েছে:
- সহিহ বুখারি (৮৬৬) অনুসারে, ওসমান (রা.) বাজারে লোকজনকে জুমার জন্য প্রস্তুত করতে ‘জাওরাহ’ নামক স্থানে প্রথম আজান চালু করেন।
- সুনানে আবু দাউদের (১০৮৭) মতে, এটি মুসলমানদের সচেতন করার জন্য একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ছিল।
জুমার দ্বিতীয় আজানের গুরুত্ব
ওসমান (রা.)-এর এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল, যেন বাজারে ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যস্ত লোকেরা জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন। এই দ্বিতীয় আজান ইসলামের একটি বিশেষ দিক হিসেবে পরিচিত এবং এখনো এটি চালু আছে।
এটি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য এবং জুমার নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরে।
জুমার আজানের পর থেকে সকল দুনিয়াবি কাজ বন্ধ করা এবং মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ। বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, ধারাবাহিকভাবে জুমার জামাতে অনুপস্থিত থাকলে আল্লাহ তাআলা সেই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।