সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের অর্থনীতি চলছে নানা সংকটে। মূল্যস্ফীতি, কর্মসংস্থানের সংকট ও বিনিয়োগ কমে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কীভাবে করা সম্ভব?
ছাত্র জনতার বিক্ষোভে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা যখন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, তখন দেশের অর্থনীতি ছিল বিপর্যস্ত। সরকার ঋণ করে ব্যয় মেটানোর চেষ্টা করছিল।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও রিজার্ভ সংকট
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের দুর্নীতি ও আর্থিক অব্যবস্থাপনার কারণে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী ছিল। বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডলার সংকট ও বৈদেশিক ঋণ শোধে অক্ষমতা।
সরকার ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যক্তি বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে শোধ না করায় দেশের ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় পৌনে তিন লাখ কোটি টাকা।
ব্যাংক খাতের সংকট ও টাকা ছাপানোর প্রভাব
দেশে টাকা ছাপানোর মাধ্যমে তারল্য সংকট মোকাবিলা করা হচ্ছে। তবে এই প্রক্রিয়া বাজারে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, কিছু ব্যাংক তারল্য সংকট কাটিয়ে উঠলেও অধিকাংশ ব্যাংকের অবস্থার উন্নতি হয়নি।
কর্মসংস্থানের সংকট
দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় হাজারো শ্রমিক চাকরি হারাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মসংস্থান রক্ষায় সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিনিয়োগ স্থবির হয়ে থাকায় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।
বিদেশি বিনিয়োগ ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আগের বছরের তুলনায় ৮.৮ শতাংশ কমে গেছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য নীতিগত সংস্কার প্রয়োজন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, নতুন কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগ বাড়াতে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ অপরিহার্য।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।