সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র মারা গেছেন। অসুস্থতার কারণে ৮১ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
খ্যাতিমান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের জীবনাবসান |
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের অন্যতম প্রিয় মুখ, প্রবীর মিত্র মারা গেছেন। রোববার (৫ জানুয়ারি) রাত ১০টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম।
৮১ বছর বয়সী প্রবীর মিত্র দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ও শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ২২ ডিসেম্বর শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ অন্যান্য জটিলতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৩ দিনের চিকিৎসার পরও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং রবিবার রাতে তিনি মারা যান।
১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। তাঁর পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। পুরান ঢাকায় বেড়ে ওঠা এই অভিনেতা স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয়যাত্রা শুরু।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবর পরিচালিত ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। যদিও ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। শুরুর দিকে নায়ক হিসেবে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে চরিত্রাভিনেতা হিসেবে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘নয়নমনি,’ ‘গোলাপী এখন ট্রেনে,’ ‘সুর্য দীঘল বাড়ী,’ এবং ‘আলোর মিছিল।’
জানাজা ও দাফন:
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাতে তাঁর মরদেহ ধানমন্ডির বাসায় রাখা হবে। আগামীকাল (৬ জানুয়ারি) জোহরের নামাজের পর এফডিসিতে প্রথম জানাজা, এরপর চ্যানেল আইতে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সবশেষে তাঁকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রবীর মিত্র একসময় দেশীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা চরিত্রাভিনেতা ছিলেন। তাঁর অভিনীত প্রতিটি চরিত্র বাস্তবধর্মী ও হৃদয়গ্রাহী ছিল। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল অনুকরণীয়। দর্শকদের হৃদয়ে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।