শাহ্ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান: অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন (জন্ম ১০ই ডিসেম্বর ১৯৬১ সাল) একজন বাংলাদেশি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসা বিজ্ঞানী যিনি রংপুরে ’হাইপারটেনসন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও রংপুর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, বর্তমানে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেনের জীবনাদর্শ |
মানবসেবা ও চিকিৎসাবিদ্যায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি বাংলা একাডেমি ফেলেোশিপ লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
ডা. জাকির হোসেনের জন্ম ১৯৬১ সালের ১০ই ডিসেম্বর বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রন্ত পরিবারে। তাঁর পিতা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ওয়াছিম উদ্দিন আহমেদ ও মাতা মোছা. ওয়ালেদা খাতুন। তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা প্রাথমিক (১৯৭২), মাধ্যমিক (১৯৭৭) ও উচ্চমাধ্যমিক (১৯৭৯) বগুড়ার ধুনটের গোসাইবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোসাইবাড়ী এ. এ. উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা কলেজে। পঞ্চম (১৯৭২) ও অষ্টম (১৯৭৫) শ্রেণিতে সরকারি মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি অর্জন।
১৯৮৫ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে সেখানেই চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে মেডিসিনে এফসিপিএস এবং ১৯৯৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তদানীন্তন আইপিজিএম অ্যান্ড আর (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে ইন্টারনাল মেডিসিনের ওপর এমডি ডিগ্রি অর্জন।
২০০৫ সালে আমেরিকান কলেজ অব ফিজিশিয়ানস থেকে এফএসিপি এবং ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্যের দি রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অব এডিনবার্গ থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি অর্জন।
কর্মজীবন
ডা. জাকির হোসেন বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কর্মস্থলগুলো হলো কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর তৎকালীন থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার মহাখালীস্থ সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ, রংপুর মেডিকেল কলেজ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ প্রভৃতি। সরকারি চাকরির সুবাদে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২০ সালের ১০ই ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন।
বর্তমানে তিনি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ, বগুড়াতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিসিএস ক্যাডারের অফিসারদের স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রশিক্ষণের প্রশিক্ষক এবং মেডিকেল সম্পর্কিত উচ্চতর ডিগ্রির অন্যতম প্রধান পরীক্ষক। দেশের অসংখ্য চিকিৎসক তার ছাত্র। গ্রামবাংলার সাদামাটা সাধারণ মানুষকে তিনি ভালোবাসেন, তাদেরকে সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং এখনো কাজ করে যাচ্ছেন।
ডা. জাকির হোসেন এদেশের মানুষের মানসম্মত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রংপুর শহরে ‘হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’, ‘অটিজম সেন্টার’ স্থাপন করেন এবং ‘সিনিয়র সিটিজেন ওয়েলফেয়ার সেন্টারে’ দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পেশায় চিকিৎসক হিসেবে রোগীদের নিয়মিত সেবা প্রদানের পাশাপাশি নিজ গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, ডা. ওয়াছিম ওয়ালেদা বহুমুখী কল্যাণ ফাউন্ডেশন, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, বয়স্ক ভাতা প্রদান, গুচ্ছগ্রামে জমিদাতা, গণগ্রন্থাগার, মসজিদ, কবরস্থান প্রতিষ্ঠাসহ নানা সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন।
ডা. জাকির হোসেন অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। তিনি যেসব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত সেসবের কয়েকটি হলো : বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনের মেডিসিন ফেলো, বাংলা একাডেমির ফেলো, রংপুর ডায়াবেটিক সমিতির জীবন সদস্য, বগুড়া ডায়াবেটিক সমিতির জীবন সদস্য ও বর্তমানে সহসভাপতি, বগুড়া ভাই পাগলা মাজার জামে মসজিদের সহসভাপতি, বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের জীবন সদস্য, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের জীবন সদস্য প্রভৃতি অন্যতম।
মানবসেবা
ডা. জাকির হোসেন সুদীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে অসংখ্য রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপ রোগীর নানান সমস্যা অবলোকন করে এসেছেন। যা বাংলাদেশে গড়ে এক-চতুর্থাংশ মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ রোগটি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসারকে “নীরব ঘাতক ব্যাধি” হিসেবে অভিহিত। এই রোগের সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না এবং তেমন কোনো কষ্ট অনুভূত না হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ রোগটির চিকিৎসা গ্রহণে উদ্যোগী হয় না কিংবা চিকিৎসা নেওয়া বন্ধ করে দেয়। রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় না থাকলে আমাদের অজান্তেই হৃৎপিণ্ড, মস্তিষ্ক, কিডনি, চোখ ও রক্তনালীগুলোর নানান রকম ক্ষতি হতে থাকে। ফলে আমরা আকস্মিক হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি রোগের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকি। এমনকি এই রোগের জটিলতায় বরণ করে নিতে হতে পারে পঙ্গুত্ব অথবা অকাল মৃত্যু।
স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ রোগটিকে যেমন প্রতিরোধ করা সম্ভব তেমনি যথাযথ চিকিৎসা নিয়ে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে এই ঝুঁকিগুলোও অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এদেশে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়ার মতো সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বড়ই অভাব। ডা. জাকির এই মারাত্মক ব্যাধির সমস্যায় সর্ব প্রথম এগিয়ে এসেছেন। তিনি ২০০৮ সালের ১৪ নভেম্বর উচ্চ রক্তচাপ রোগী ও জনগণকে সচেতনতা করতে রংপুরে হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে তিনি উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের কমিউনিটি লেবেলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত করছেন এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এর ফলে স্টোক, অন্ধত্ব, হার্ট অ্যাটাক, কিডনি ফেইল্যুরের মতো নানাবিধ জটিলতা থেকে অসংখ্য রোগী বেঁচে যাচ্ছেন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ অথবা ডায়াবেটিস আছে তারা মাত্র ৫০ (পঞ্চাশ) টাকার বিনিময়ে রেজিস্ট্রেশন করে এই প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারেন এবং পরবর্তী কালে আজীবন ৪০ (চল্লিশ) টাকা প্রদান করে ফলোআপ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা, অসহায় দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হয়।
ডা. জাকির হোসেন দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অদ্যাবধি বিনামূল্যে এই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছেন। এ পর্যন্ত তিনি নিজে এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩০ হাজার রোগী দেখেছেন এবং অদ্যবধি দেখে যাচ্ছেন। ১২ই নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানে থেকে প্রায় ৪৫ হাজার নিবন্ধিত রোগী নিয়মিত চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেছেন।
হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারটিতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ন রয়েছেন। এখানে স্বল্পমূল্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনামূল্যে সকল রকম ল্যাব ইনভেস্টিগেশন হয়। প্রতিষ্ঠানটি রংপুরে হলেও সারাদেশের মানুষকে সেবা দিচ্ছে। বিশেষ করে রংপুরের বাইরে বগুড়া, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, দিনাজপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতমূলক সেমিনার, উঠান বৈঠক, মেডিকেল ক্যাম্প, এনসিডি ক্যাম্প করে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা করছে।
ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলায় হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের নিয়মিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিনামূল্যে ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস ও বিএমআই নির্ণয় করে হাজার হাজার মানুষকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস শনাক্ত এবং শনাক্তকৃত রোগীদের রোগ সম্পর্কে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে কমিউনিটি লেভেলে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা প্রদান কার্যক্রম সুনিপুণভাবে সম্পাদন করা হয়। উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে, ডাটা সংরক্ষণ, রিসার্চ মেথডোলজিসহ কয়েকটি একাডেমিক প্রশিক্ষণ কোর্স ও গবেষণায় এটিই বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান থেকে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
ডা. জাকির হোসেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত ৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি নানান কল্যাণমুখী সামাজিক কাজকর্ম ছড়িয়ে দিচ্ছেন। শিক্ষানুরাগী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন-এর প্রয়াত পিতা ডা. ওয়াছিম উদ্দিন আহমেদ নিজ এলাকায় বগুড়ার ধুনটের গোঁসাইবাড়িতে নারী শিক্ষার অগ্রায়ণে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে জমি ও নগদ অর্থ দান করেন। এই অর্থে গোসাঁইবাড়ীতে করিম বকস ওয়াসিম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গড়ে ওঠে। এই স্কুলটি আশির দশকের প্রারম্ভে এমপিও ভুক্ত হয়।
পরবর্তীকালে ডা. জাকির হোসেনের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটে। এ প্রতিষ্ঠানে ঝড়ে পড়া ও পিছিয়ে পড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যাতে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সেই জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠ ̈সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে আসছেন।
২০০৫ সাল থেকে ধুনটের গোসাইবাড়ী আমির উদ্দিন আয়েজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও করিম বকস ওয়াসিম উদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদেরকে অর্থবৃত্তি প্রদান করছেন তিনি। তার নেতৃত্বে রংপুর ও বগুড়া অঞ্চলে গড়ে ওঠেছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যায় দুটি প্রতিষ্ঠানসহ একটি সমৃদ্ধ গণগ্রন্থগার। তার স্বোপার্জিত অর্থে প্রতিষ্ঠিত ৭টিপ্রতিষ্ঠানে প্রায় শতাধিক দক্ষ কর্মী কর্মরত। ডা. জাকির বয়স্ক, বিধবা, অস্বচ্ছল আত্মীয়স্বজনদের দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত হারে মাসিক ভাতা প্রদানসহ দুর্যোগ দুর্বিপাকে এলাকার মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। মসজিদ, ইদগাহ মাঠ, কবরস্থান, গুচ্ছগ্রামসহ নিজ গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণে জমিসহ আর্থিক সহায়তা করছেন তিনি।
গ্রন্থ ও গবেষণা
চিকিৎসা বিজ্ঞান-বিষয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১০০টির বেশি প্রবন্ধ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনারে উপস্থাপন করেছেন তিনি। অসংখ্য মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ৪০টির বেশি প্রবন্ধ। দেশের পত্রপত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে স্বাস্থ্য সমস্যা ও সচেতনতা নিয়ে সাক্ষাৎকার ও আলোচনা অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণ করছেন এবং ইতোমধ্যে তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপ বিষয়ে সাধারণ পাঠক ও রোগীদের বোধগম্য বাংলা ভাষায় তাঁর লেখা প্রথম প্রকাশিত বই ‘রক্তচাপ ও উচ্চ রক্তচাপ’ (২০২৪)। গ্রন্থটি সর্ব সাধারণমহলে ব্যাপক আদৃত হয়েছে। তিনি উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্মাননা
ডা. জাকির হোসেন তার কর্মজীবনে বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
• যুগের আলো গুণিজন সংবর্ধনা (২০১৩)
• জাকারিয়া মেমোরিয়াল মেডেল (২০১১)
• চিকিৎসা পদক (২০২১)
• প্রফেসর এসজিএম চৌধুরী মেমোরিয়াল অরেশন গোল্ড মেডেল (২০২৩)
• বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ (২০২২)
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।