সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশের জনগণ চাঁদাবাজির কালো হাত থেকে নিষ্কৃতি চায়। দফায় দফায় চাঁদা দিতে বাধ্য হওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে আসা জিনিসপত্রে দাম বেড়ে যায় অনেক।
জালেম সরকারের পতনের পরও বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাঁদাবাজির খবর শোনা যাচ্ছে। পরিবহন স্ট্যান্ড, জলমহাল, বালুঘাট, প্রতিপক্ষের বাড়িঘর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি দখলের খবর আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জালেম সরকারের পতনের পর এই চিত্র সত্যিই হতাশাজনক। সরকারকে কঠোর হস্তে এসব দমন করতে হবে। চাঁদাবাজির পাশাপাশি ধর্মবিদ্বেষের ঘটনাও ঘটছে। কুমিল্লায় জনসভার কারণে যোহরের আযান মাইকে দেয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকাব পরিধানকারী নারী সহকারী প্রক্টরকে পোশাকের কারণে কটুক্তির শিকার হতে হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্যের কারণে দেশবাসী শংকিত। চাঁদাবাজি, ধর্মবিদ্বেষ, দূর্নীতির অবসান দেখতে চায় দেশের জনগণ। সাড়ে ১৫ বছরের নিষ্ঠুর স্বৈরশাসনের দিকে দেশের জনগণ কোনভাবেই ফেরত যেতে যায় না। জনগণের এই আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে অন্তর্বর্তী সরকার, সকল রাজনৈতিক দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সকল অংশীজনের পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়াতে হবে, দেশের স্বার্থে নিজেদের মধ্যকার দুরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষের সদিচ্ছা না থাকলে একসময় তারা পতিত সরকারের ন্যায় গণধিকৃত গোষ্ঠীতে পরিণত হবে।
আজ শনিবার (০৪ ডিসেম্বর ২০২৫) সকাল সাড়ে ৭ টায় রাজধানীর লালবাগ কেল্লার মোড়স্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগরের মাসিক পরামর্শ সভা থেকে এই বার্তা দেয়া হয়।
খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর আমীর মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোফাচ্ছির হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পরামর্শ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর নায়েবে আমীর মুফতী আখতারুজ্জামান আশরাফী, যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান কাসেমী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাহফুজুর রহমান, জাকির হুসাইন, অর্থ সম্পাদক মাওলানা জাফর আহমদ, প্রচার সম্পাদক মুফতী জসীম উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি রুহুল আমিন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদুল্লাহ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সুমন, দফতর সম্পাদক মাওলানা ইকরাম ইলাহী নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত প্রমূখ।
পরামর্শ সভায় দাওয়াতী মাস উপলক্ষ্যে জানুয়ারি মাসব্যাপী সদস্য সংগ্রহ অভিযান বেগবানকরণ, ২০২৫ সালের সাংগঠনিক পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়ন, খেলাফত আন্দোলনের ১৫ দফা জাতীয় কর্মসূচির উপর গণসচেতনতা তৈরি, বিগত মাসের সাংগঠনিক কাজের রিপোর্ট পর্যালোচনা ইত্যাদিসহ জাতীয় ও সাংগঠনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।