রাজিবপুরে বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযোগ নেয়নি ওসি

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

শফিকুল ইসলাম: ঘটনার নয়দিন অতিবাহিত হলেও বসতবাড়িতে গিয়ে মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ  উঠেছে রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তসলিম উদ্দিন এর বিরুদ্ধে।

রাজিবপুরে বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযোগ নেয়নি ওসি
রাজিবপুরে বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযোগ নেয়নি ওসি


এঘটনায় ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার চেয়ে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর উপজেলা বালিয়ামারাী পশ্চিমপাড়া গ্রামে।

ভুক্তভোগী পরিবার, অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালিয়ামারী নয়াপাড়া গ্রামের শাহাদত হোসেন এর পুত্র সাকোয়াত হোসেন সাকিল এর সাথে মনিরুজ্জানের সাথে বিদেশ যাওয়ার শর্ত অনুয়ায়ী চুক্তি হয় এবং কাতারে পাঠায়। সাকোয়াত হোসেনকে যে কাজ দেওয়া কথা, কাতার দেশে গিয়ে তিনি সেই কাজে যোগদান করেন। চারমাস চাকুরি করার পর কোন কারণ ছাড়াই স্বইচ্ছায় ওই দেশের পুলিশের কাছে ধরা দেয় সাকোয়াত হোসেন। ওই দেশের পুলিশের হেফাজতে আটক সাকোয়াত হোসেনকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। 

এদিকে সাকোয়াত দেশে ফিরে এসে মনিরুজ্জানের কাছে বিদেশ যাওয়ার সময় যে খরচ দেওয়া হয়েছে তা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এনিয়ে গত একমাস আগে রাজিবপুর থানায় একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে বিদেশ যাওয়ার সকল ডকুমেন্ট সঠিক থাকায় শালিশদারগণ মনিরুজ্জানের পক্ষে রায় দেন। কিন্ত সাকোয়াত হোসেন এ রায় না মেনে ঘটনার দিন আব্দুল আজিজ ও শাহাদত হোসেন এর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল দেশিয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঠা নিয়ে মনিরুজ্জানের বাড়িতে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায় এবং আলমারীর ড্রয়ার ভেঙ্গে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও ২ ভরি স্বর্ণলঙ্কার নেয়। এসময় পরিবারের লোকজনের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা দ্রæত পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা তাদেরকে উদ্ধার করে রাজিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরেদিন মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে রাজিবপুর থানায় অভিযোগ দিলে ওসি তা গ্রহণ করেননি। পরে ন্যায় বিচার চেয়ে মনিরুজ্জামান কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন দেন।  

ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার পরেরদিন থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে ওসি অভিযোগ গ্রহণ করেননি। ওসি আমাকে বলেন যে, টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার লুটের লেখাটি কেটে দিয়ে অভিযোগ দেন। তা না হলে অভিযোগ নেওয়া সম্ভব না।

রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তসলিম উদ্দিন জানান. এবিষয় নিয়ে কেউ আমাকে অভিযোগ দেয়নি বা আমি কিছু জানিও না।





সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top