শফিকুল ইসলাম: নতুন বছরের শুরু থেকেই দেখা মেলেনি সূর্য্যরে আলো। ১লা জানুয়ারী থেকে কুড়িগ্রাম জেলার সীমান্তবর্তী রৌমারী উপজেলায় জেকে বসেছে শীত।
উত্তরে হিমালয় পর্বত থেকে আসা হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। রাত ও সারা দিনে থেকে বৃষ্টির মতো টপটপ করে ঝড়ছে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারনে ঝুকি নিয়ে চলছে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। অপর দিকে শীত ও ঠান্ডা নিবারনের জন্য সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষগুলো ভীর করছে শীতের কাপড়ের দোকানে। রৌমারীসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের মোড়ে মোড়ে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ঠান্ডা নিবারনের মোটা কাপড়ের জামা। দামে কম পাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষগুলো এসব ছোট ও বড় জামা কিনছেন। তবে সরকারি ভাবে যে কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা অপ্রতুল।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) সকালে কুড়িগ্রাম জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। কুয়াশার সাথে কনকনে বাতাস ঠান্ডার তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের অসহায় হয়ে পড়েছে।
কুড়িগ্রামের রাজার হাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানিয়েছেন, লঘুচাপের কারনে আকাশে মেঘ থাকায় কুয়াশা বাড়ছে। সেই সাথে ধেয়ে আসা শীতল বাতাসের কারনে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এ অবস্থা আরো ২/১ দিন থাকতে পারে।
এদিকে ঘন কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় রৌমারী মানুষের জনজীবন অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটেখাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তীব্র শীতের কারনে ৩ দিন থেকে মানুষ ও সকল প্রকার যানবাহন চালানো সমস্যায় পড়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় দরিদ্র-অসহায় মানুষগুলা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন। ঠান্ডার কারনে শ্রমিকদের কাজে যাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বান্তবায়ন কর্মকর্তা সামছুদ্দিন জানান, শীতার্তদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দের ২’শ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও বরাদ্দের ৩ লাখ টাকা কম্বল ক্রয় করে বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।