সেবা ডেস্ক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা চলছে। ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ পরিবারের দাবি বিচার ও সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়।
ডিসেম্বরে ভোট? শহীদ পরিবার ও ছাত্রদের দাবি আগে বিচার! |
বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তেজনা চলছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। বেশ কিছু রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে ছাত্রজনতা ও আন্দোলনকারীরা বলছেন, ২৪-এর গণহত্যার বিচার এবং আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের অপরাধের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।
ডিসেম্বরের রোডম্যাপ:
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এর জন্য সব রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র আন্দোলনকারীদের ঐকমত্য প্রয়োজন।
শহীদ পরিবার এবং আহত ব্যক্তিরা এই নির্বাচনের অন্যতম সিদ্ধান্তমূলক ভূমিকা রাখবেন। তাদের মতামত এবং আন্দোলনের নেতাদের সম্মতি ছাড়া সরকারের পক্ষে নির্বাচনের আয়োজন করা কঠিন হয়ে যাবে।
সংস্কার কমিশন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতি:
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এর মধ্যে চারটি কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে এবং বাকিগুলো শীঘ্রই জমা দেবে। এই সংস্কারগুলো শেষ হলে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপে প্রবেশ করবে সরকার।
ছাত্র আন্দোলন ও শহীদ পরিবারের অবস্থান:
ছাত্র আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, গণহত্যার বিচার এবং মৌলিক সংস্কারগুলো না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। শহীদ পরিবারের সদস্যরাও একই মত দিয়েছেন। তারা বলছেন, তাদের স্বজনেরা শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেননি।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
নির্বাচন নিয়ে ভারতের ভিন্নমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেছেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলেই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।’ তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে ভারত কোনো মন্তব্য করবে না।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কবে হবে, তা অন্তর্বর্তী সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত।’
বিএনপির দৃষ্টিভঙ্গি:
বিএনপির নেতারা বলছেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো স্থায়ী ম্যান্ডেট এবং সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। বিএনপি চায় ‘যথাসময়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।’
ছাত্র আন্দোলনের ভবিষ্যৎ:
ছাত্র আন্দোলনকারীরা তাদের রাজনৈতিক শক্তি গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছেন। তাদের সমর্থন এবং শহীদ ও আহত পরিবারের ম্যান্ডেট ছাড়া সরকার কোনো নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারবে না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।