সেবা ডেস্ক: ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন। সীমান্ত পরিস্থিতি ও সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন ভারতীয় সেনাপ্রধান |
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী সম্পর্ক উন্নয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
নতুন বছরের শুরুতে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারুজ্জামান ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ন্যায্যতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের দেওয়া-নেওয়ার সম্পর্ক হতে হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে। জনগণের মনে কখনোই এমন ধারণা আসা উচিত নয় যে, ভারত বাংলাদেশের উপর কর্তৃত্ব করছে।”
ভারতীয় সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী তার বক্তব্যে এই সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বাংলাদেশ আমাদের কাছে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা নয় বরং একে অপরকে সহযোগিতার ভিত্তিতে চলতে হবে।”
ভারতীয় সেনাপ্রধান আরও জানান, “বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কোনো বড় ঝুঁকি নেই। আমরা সবসময় সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে সচেতন। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী।” তিনি জানান, ৫ আগস্টের পরিবর্তনের সময় তিনি বাংলাদেশ সেনাপ্রধানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন।
এছাড়া ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর দুই দেশের সেনাপ্রধানদের মধ্যে একটি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে সামরিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী জানান, দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক এবং কৌশলগত সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির প্রয়োজন। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উভয় পক্ষই উদ্যোগী।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।