শাহ সীদদীক: অল্প কিছুকালের মধ্যে দেশের জেলায় জেলায় ডায়াবেটিক হাসপাতালের ন্যায় আরেকটি চিকিৎসাকেন্দ্র সবার দৃষ্টিগোচর হতে পারে এবং সেখানে রোগীদের বিপুল মাত্রার আনাগোনা লক্ষ্য করা যেতে পারে। আর তা যদি হয় তাহলে একটি ভয়ঙ্কর অর্থাৎ মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগের সুচিকিৎসা মানুষের অনেকটা দোরগোরায় পৌঁছাবে। এটা হবে দেশের মানুষের জন্য বহু প্রতীক্ষিত একটা ঘটনা, একটা চমৎকার স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর |
হ্যাঁ, ডায়াবেটিকের ন্যায় কাঙ্খিত সেই চিকিৎসাকেন্দ্র হতে পারে রংপুরের হাইপারটেনসন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার নামক চিকিৎসাকেন্দ্র। হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ মানব জীবনের একটি মারাত্মক সমস্যার নাম। এই রোগ নীরবে বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক ঘটায়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের মৃত্যু ঘটে। যেকোনো বয়সের মানুষ এতে মারা পড়তে পারেন। আসলে এমনটা এখন প্রায়ই ঘটছে। তাই অনেক আগে থেকেই এই রোগের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা সরকারগুলোর ভাবার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা এ বিষয়ে গভীভাবে ভাবেননি, মনোযোগ দেননি।
ভেবেছিলেন একজন ডা. জাকির হোসেন। তিনি ২০০৮ সালে রংপুরে এই রোগের চিকিৎসার জন্য হাইপারটেনসন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। হাজার হাজার মানুষ এর সুফল ভোগ করছেন। অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেশের মানুষকে এই ভয়ংকর রোগ থেকে বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে সারাদেশে হাইপারটেনশন এ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার নামক এই চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন।
সেটাই আমরা দেখতে পাবো বলে আশা করছি। এ জন্য জাকির সাহেবকে সার্বিক সহযোগিতা করা উচিত। উচিত তাকে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত করা।
লেখক : কবি ও প্রাবন্ধিক
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।