জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন শাপলা মোড়ে রোববার সকালে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পরিকল্পিত পিলখানা হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপরাধ জেল বন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তি এবং চাকুরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকুরীতে পুর্নঃবহালের দাবিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে চাকুরীচ্যুত ও জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবার সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার মূখপাত্র আব্দুল আখের তার বক্তব্যে বলেন- ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত করে প্রহসনের বিচারের নামে ১৮,৫১৯ সদস্যদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা শান্তির মাধ্যমে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। আজও প্রায় ৮’শ অধিক বিডিআর সদস্য কারাগারে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। কারাগারে আটক ও জেল বন্দিদের মুক্তির দাবিতে ক্ষতিগ্রস্থ বিডিআর ও তাদের পরিবার বর্গকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনায় কুড়িগ্রাম জেলা চাকুরিচ্যুত বিডিআরের মুখপাত্র মোঃ আব্দুল আখের তার বক্তব্যে আরো বলেন, ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ পিলখানায় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘূর্নীত হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভোমত্বের সাথে জড়িত দেশের প্রধান দুইটি বাহিনীকে তাদের সামরিক সক্ষতা ও মনোবল ভেংগে ফেলার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথে গোপন আতাঁত করে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে তৎকালিন আওয়ামী সরকারের শেখ হাসিনা, তাপস, নানক, মির্জা আযম, শেখ সেলিম, হাসানুল হক ইনু ও সজিব ওয়াজেদ জয় সহ অজ্ঞাত অনেকে এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকলেও তাদেকে আইনের দারস্ত না করে দেশের জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটা প্রহসনের আদালত গঠন করে সাড়ে আটার হাজার বিডিআর সদস্যকে জেল জুলুমের নামে চাকুরীচ্যুত করে। আজও প্রায় ৮০০ শত নিরপরাধ বিডিআর খালাস পাওয়ার পরেও ১৫ বৎসর ধরে কারাগারে অন্তরিন রাখা স্পষ্ট মানবতা বিরোধী অপরাধের শামিল। তাদেরকে যথা শীঘ্রই কারা মুক্তির জোরালো দাবি জানান। মুখপাত্র আরও বলেন, ঘটনা পরবর্তি উচ্চ পর্যায়ে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও দলীয় নেতাদের সংশ্লিষ্ট থাকায় একটি তদন্ত প্রতিবেদনও আলোর মুখ দেখে নাই। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে হাজার হাজার বিডিআর সদস্যদেরকে বলির পাঠা বানানো হয়। বিগত ১৫ বৎসর আমরা মুখ খুলে কিছু বলতে পারি নাই, আমাদের বেঁচে থাকার অধিকার হনন করে নেওয়া হয়েছে। মুখপাত্র মোঃ আব্দুল আখের তার বক্তব্যে বলেন বর্তমান সরকার জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, বিগত সরকারের আমলে যত প্রকার প্রহসনের বিচার, হত্যা, গুম খুন হয়ে তার বিচার স্বচ্চ ও নিরপেক্ষতার সাথে সম্পন্ন করবেন, আজ ক্ষতিগ্রস্থ বিডিআরগণ জাতির কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়। সচ্চতার সাথে পিলখানার হত্যাকান্ডের পুনঃতদন্ত করে কারাবন্দি ও চাকুরীচ্যুত বিডিআর, হত্যাকান্ডে শহীদ ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা ও জিজ্ঞাবাদে নিহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের জোর দাবি জানানো হয়। শর্ত দিয়ে সতন্ত্র কমিশন জাতির সাথে তামাসার নামান্ত। অসহায়দের সাথে মশকারা করবেন না। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন- নাঃসুবেঃ মকবুল হোসেন, হাবিঃ আব্দুল আখের, হাবিঃ নুরজামাল, লাঃ সিগঃ সিদ্দিকুর রহমান, হাবিঃ আলমীর হোসেন, সৈনিক শফিকুর রহমান, সৈনিক সোহেল রানা ও লাল মিয়া সহ চাকুরীচ্যুত বিডিআর পরিবারের অনেক সদস্য।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।