এইচএমপিভি: চিন্তা করবেন না, উপসর্গ ও চিকিৎসা নিয়ে জানুন

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: এইচএমপিভি নামক নতুন ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ নেই। শীতকালীন সংক্রমণ হিসেবে চীন এটিকে ব্যাখ্যা করেছে। জানুন উপসর্গ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ।

এইচএমপিভি চিন্তা করবেন না, উপসর্গ ও চিকিৎসা নিয়ে জানুন
এইচএমপিভি চিন্তা করবেন না, উপসর্গ ও চিকিৎসা নিয়ে জানুন


চীন থেকে সম্প্রতি নতুন এক ভাইরাসের সংক্রমণের খবর বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই ভাইরাসের নাম হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি), এবং এটি শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হিসেবে পরিচিত। তবে চীন সরকার এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এইচএমপিভি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দেশটি পুরো বিষয়টিকে ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে এবং জানিয়েছে, মৌসুম পরিবর্তনের কারণে এই ভাইরাসটি বাড়ছে।

গত শুক্রবার থেকে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিতে দেখা যায়, চীনের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় এবং তাদের শ্বাসকষ্টের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া। বেশিরভাগ রোগী এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত বলে দাবি করা হয়, তবে এগুলির সত্যতা যাচাই করা হয়নি।

চীনের সরকার নিশ্চিত করেছে যে, এই ভাইরাসের সংক্রমণ গুরুতর নয় এবং তা শীতের মরসুমে সাধারণ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের অংশ। চীন সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, “ভাইরাসটি মারাত্মক নয় এবং সংক্রমণের হার কম, গত বছরের তুলনায় বর্তমানে পরিস্থিতি অনেক ভালো।”

ভারতও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা দেখছে না। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেল্‌থ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি সংক্রামক হলেও তেমন আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নয়। এ ধরনের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এইচএমপিভি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। যদিও ভাইরাসটি ২০০১ সালে প্রথম শনাক্ত হয়, তারপর থেকে এটি শীতকালীন মৌসুমে বেশি সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি এবং কাশি, এবং কিছু রোগী নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন, তবে মৃত্যুর হার অত্যন্ত কম

এইচএমপিভি-র চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ

বর্তমানে এইচএমপিভি সংক্রমণের জন্য কোনো অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বা টিকা নেই। তবে আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের অক্সিজেন এবং কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা যেতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং জীবাণুমুক্তকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি যদি গুরুতর অসুস্থ হন তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে, তবে সাধারণত, রোগটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রায় থাকে।




সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top