সেবা ডেস্ক: এইচএমপি ভাইরাস চীনে নতুন করে উদ্বেগের কারণ। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষণীয়। নতুন মহামারির আশঙ্কা কতটা সত্য?
এইচএমপি ভাইরাস: আসলেই ভয়ঙ্কর নাকি পুরোটাই গুজব? |
করোনা মহামারির প্রভাব কাটিয়ে মানুষ যখন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে, তখন নতুন একটি ভাইরাস নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। চীনের কিছু অঞ্চলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে এইচএমপি ভাইরাস (Human Metapneumovirus) নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এইচএমপি ভাইরাস কী?
চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC)-এর তথ্য অনুযায়ী, এইচএমপি ভাইরাস একটি আরএনএ ভাইরাস, যা মানুষের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি প্রধানত শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের জন্য বিপজ্জনক।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সর্দি, কাশি, এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যাচ্ছে। মালয়েশিয়া, জাপান এবং চীনসহ কয়েকটি দেশে এর সংক্রমণ ইতিমধ্যে রিপোর্ট করা হয়েছে।
এইচএমপি ভাইরাস ও কোভিড-১৯: মিল এবং পার্থক্য
এইচএমপি ভাইরাস এবং কোভিড-১৯ উভয়ই শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, তবে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু মিল এবং পার্থক্য রয়েছে।
মিল:
- উভয়ই ভাইরাল ইনফেকশন, যা মানুষের শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণ করে।
- সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়ায়।
- শিশু এবং বয়স্কদের জন্য উভয়ই ঝুঁকিপূর্ণ।
- উভয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।
পার্থক্য:
- ভাইরাসের ধরন:
- কোভিড-১৯ একটি করোনা ভাইরাস, আর এইচএমপি হলো মেটাপ্নিউমোভাইরাস।
- ইমিউন প্রতিরোধ:
- কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন এইচএমপি ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়।
- লক্ষণ:
- কোভিড-১৯: জ্বর, শ্বাসকষ্ট, গন্ধ-স্বাদ হারানো।
- এইচএমপি: সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, কখনো কখনো ফুসফুসের সংক্রমণ।
বিশ্বব্যাপী সতর্কতা এবং গবেষণা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন করে মহামারির আশঙ্কা কম নয়। তবে সঠিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এইচএমপি ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে করণীয়
- মাস্ক ব্যবহার করুন: সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরুন।
- হাত ধুতে ভুলবেন না: বারবার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
- সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন: জনবহুল জায়গায় ভিড় এড়িয়ে চলুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: শ্বাসকষ্ট বা জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।