বশির আহমেদ: মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের প্রথম আত্মসমর্পণের ইতিহাস

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের প্রথম আত্মসমর্পণ ঘটাতে ভূমিকা রেখেছিলেন বশির আহমেদ। তাঁর অসীম সাহস ও বীরত্ব মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অমর।

বশির আহমেদ কামালপুর বিজয়ের কিশোর নায়ক

বশির আহমেদ: কামালপুর বিজয়ের কিশোর নায়ক



পরিচিতি

বশির আহমেদ, বীর প্রতীক, জন্ম ১৯ মে ১৯৫৭, গ্রাম ডুমুরতলা, ইউনিয়ন ধানুয়া, বকশীগঞ্জ, জামালপুর। বর্তমান ঠিকানা ব্র্যাক সড়ক, চরিয়াপাড়া, বকশীগঞ্জ। বাবা লাল মামুদ, মা কিশোরী বেওয়া। স্ত্রী রোকেয়া বেগম। তাঁদের তিন ছেলে। খেতাবের সনদ নম্বর ৩৯৭।

জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম লাউচাপড়ায় বাড়ি ছিল বশির আহমেদের। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে কিশোর বয়সেই তিনি দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকা অবস্থায়, মাত্র ১৫-১৬ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচার, হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ সহ্য করতে না পেরে এপ্রিল মাসে তিনি মহেন্দ্রগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে যোগ দেন। যদিও প্রথমবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় কিশোর বলে, কিন্তু অদম্য মনোভাব এবং দৃঢ় সংকল্পের কারণে দ্বিতীয়বার তাঁকে গ্রহণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। এরপর তিনি ১১ নং সেক্টরে হেলাল কোম্পানির অধীনে যুদ্ধ করেন এবং মিত্রবাহিনীর সাথেও কাজ করেন।

কামালপুর যুদ্ধ ও পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ

কামালপুর ছিল একটি কৌশলগত সীমান্ত চৌকি। মুক্তিবাহিনী এই অঞ্চলে টানা ১১ দিন পাকিস্তানি সেনাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা সহজে আত্মসমর্পণে রাজি হচ্ছিল না। এই সময় ব্রিগেডিয়ার হরদেব সিং ক্লেয়ার আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি পাকিস্তানি ক্যাম্পে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে সেই চিঠি নিয়ে পাকিস্তানি ঘাঁটিতে যাওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবী পাওয়া যাচ্ছিল না।

এই দুঃসাহসিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা বশীর আহমেদ। সাদা পতাকা ও আত্মসমর্পণের চিঠি হাতে নিয়ে পাকিস্তানি ক্যাম্পে পৌঁছান তিনি। পাক সেনারা প্রথমে তাঁকে সন্দেহ করলেও পরে চিঠি গ্রহণ করে। তবে চিঠি নেওয়ার পরও তারা আত্মসমর্পণে দেরি করছিল। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা এবং চাপের মুখে ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানিরা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণ ছিল বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানিদের প্রথম আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ।

কামালপুর যুদ্ধে বশিরের বীরত্ব

যে অবিচল মনোভাব দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের প্রাথমিক বৈতরণী পার হয়েছিলেন বশির, পরবর্তীতেও আর কখনো সেটিকে ফিকে হতে দেননি তিনি। ১১ নং সেক্টরে হেলাল কোম্পানির অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন। পরবর্তীতে নিযুক্ত হয়েছিলেন মিত্রবাহিনীর একটি কোম্পানিতেও। রেকি করা ও দোভাষীর দায়িত্ব পালন ছাড়াও অংশ নিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি সম্মুখযুদ্ধেও। তবে এমন যুদ্ধ তো করেছিলেন আরো অনেকেই। একটি বিরল কৃতিত্বের কারণে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সবার থেকে আলাদা। সেই কৃতিত্বের কারণেই ইতিহাস কখনো তাঁর কথা ভুলবে না, ভুলতে পারবে না।

সীমান্তবর্তী কামালপুর পরিচিত ছিল সেক্টর ১১ এর আওতাধীন উত্তরাঞ্চলীয় সেক্টর হতে ঢাকার প্রবেশদ্বার হিসেবে। ফলে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনী উভয়ের কাছেই এই সীমান্তচৌকি ছিল অতি গুরুত্বপূর্ণ এক কৌশলগত রণাঙ্গন। পাকিস্তানিরা এই কামালপুরে গড়ে তুলেছিল তাদের এক দুর্ভেদ্য ঘাঁটি। সেই ঘাঁটি দখল করে গোটা অঞ্চলকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা ছিল মুক্তিবাহিনীর লক্ষ্য। তাই বারবার এখানে যুদ্ধ চলেছিল মুক্তিবাহিনী ও পাক বাহিনীর।

যতই যুদ্ধ হতে থাকে, কামালপুরে পাক বাহিনী ততই দুর্বল থেকে দুর্বলতর হতে থাকে। আর নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মরণকামড় দেয় মুক্তিবাহিনী। তাঁরা ২৪ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ১১ দিন অবরুদ্ধ করে রাখে কামালপুর। এই ক’দিনে কোনো দিক থেকেই সাহায্য-সরবরাহ লাভের সুযোগ ছিল না পাকিস্তানিদের সামনে। বারবার অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করে হাঁপিয়ে যায় তারা। মুক্তিবাহিনী ক্রমশ শুষে নিতে থাকে তাদের সবটুকু প্রাণরস। এরপর বাকি ছিল শুধু একটি জিনিসেরই, তা হলো পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ। কিন্তু সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে, সেই আত্মসমর্পণটাই করতে চাইছিল না পাকিস্তানিরা।

এদিকে ৩ ডিসেম্বর থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে যায় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। সেদিন শত শত ভারতীয় যান এসে উপস্থিত হতে থাকে সীমান্তে। পরদিন, অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর সীমান্তঘেঁষা ভারতীয় গ্রাম ব্রাহ্মণপাড়ায় সশরীরে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় ৯৫ মাউন্টেন ব্রিগেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার হরদেব সিং ক্লেয়ারও। এরপর মিত্র ও মুক্তিবাহিনী যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কামালপুরের পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণ করাতে হবে।

কিন্তু, পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণ করাতে হলে তো আগে তাদের কাছে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো চিঠি পাঠাতে হবে। চিঠিটি পাঠাতে হবে পাকিস্তানিদের কামালপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আহসান মালিক বরাবর। সেখানে লেখা থাকবে:

“নির্ধারিত সময়ে আত্মসমর্পণ না করলে একযোগে আক্রমণ চলবে, এমনকি বিমান থেকে আঘাত করা হবে।”

চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত না হয় চূড়ান্ত হলো। এবারের প্রশ্ন,

“পাকিস্তানি ক্যাম্পে কে যাবে আত্মসমর্পণের চিঠি নিয়ে?”

প্রশ্নটি করেছিলেন ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার। কোনো প্রত্যুত্তর অবশ্য তিনি পাননি। সেদিন সেখানে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বটে, এবং তাঁরা অনেকেই সম্মুখসমরে যুদ্ধে চরম দুঃসাহসিকতারও পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু সেগুলোর চেয়ে এই প্রস্তাবটি ছিল একেবারেই ভিন্ন। যুদ্ধ করতে গেলে মৃত্যুর আশঙ্কা যেমন থাকে, ঠিক তেমনই থাকে বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনাও। অর্থাৎ অন্ধকার টানেলের শেষে মৃদু আলোর রেখাও চোখে পড়ে। কিন্তু এভাবে শত্রুর শিবিরে প্রবেশ করলে যে মৃত্যু অবধারিত! শত্রু যত কোনঠাসা অবস্থায়ই থাক, একটি শেষ শিকারের সুযোগ কি তারা ছেড়ে দেবে? সুতরাং কে-ই বা চাইবে হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নিতে?

প্রথম দফায় উত্তর না পেয়ে আগের প্রশ্নটির পুনরাবৃত্তি করেছিলেন ব্রিগেডিয়ার ক্লেয়ার। হয়তো তিনি নিজেও আশা করেননি উত্তরের। কিন্তু তাঁকে, এবং উপস্থিত বাকি সবাইকে চমকে দিয়ে মুক্তিবাহিনীর এক কিশোর যোদ্ধা বলে উঠেছিলেন, “আমি যাব।”

ঠিক ধরেছেন পাঠক, সেই কিশোরই আমাদের গল্পের নায়ক বশির আহমেদ।

পরিকল্পনা মোতাবেক বশিরের এক হাতে দেয়া হয়েছিল সাদা পতাকা। আরেক হাতে আত্মসমর্পণের চিঠি। তাঁকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এভাবে:

“ক্যাম্পের কাছে বাঁধ রোডের কিছু উপরে উঠে সাদা পতাকা ও সারেন্ডার লেটার দেখাবে এবং ইশারায় ডাকবে। তারা আসলে হাতে সেরেন্ডার লেটার হস্তান্তর করবে আর গুলি চালালে নিচে পজিশনে নেমে পড়বে, আমরা আর্টিলারি ফায়ার দিয়ে তাদের দমিয়ে রাখবো তুমি চলে আসবে।”

এই নির্দেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণের চিঠি হাতে কামালপুর ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন বশির। ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কামালপুর ক্যাম্প পর্যন্ত পুরো জায়গাটা ছিল ফাঁকা। তিনি সাদা পতাকা উড়িয়ে মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছালে তাঁকে দেখতে পেয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিয়েছিল পাকসেনারা। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পজিশন নিয়েছিল যে যার বাংকারে। এদিকে বশির সাহস করে উঠে পড়েছিলেন বাঁধ রোডের উপর। হাতের আত্মসমর্পণ চিঠি দেখিয়ে ইশারায় ডাকতে শুরু করেছিলেন পাকিস্তানিদের।

প্রায় ৩০ মিনিট ডাকাডাকির পরও কোনো পাকসেনা এগিয়ে আসেনি তাঁর কাছে। উল্টো ইশারায় তাঁকেই ডেকেছিল তাদের কাছে যেতে। শেষ পর্যন্ত সেটিই করেছিলেন বশির। তাঁর মাথার মধ্যে তখন ঘুরপাক খাচ্ছিল সম্ভাব্য বিপদের কথা। ধরেই নিয়েছিলেন, যে মৃত্যুকে ইতিমধ্যেই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, এবার সেটি আসতে চলেছে।

কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, পাকিস্তানি ক্যাম্পে গিয়ে তিনি যা ভেবেছিলেন তার ঠিক বিপরীত আচরণই পেয়েছিলেন। একজন পাকিস্তানি অফিসার তাঁর কাছে এগিয়ে এসে আত্মসমর্পণ চিঠি আর সাদা পতাকাটি নিয়েছিলেন। তাঁর পিঠে হাত দিয়ে বলেছিলেন, “মুক্তি, তুম মাত গাবরাও।” এরপর তাঁকে দুটি রুটি, ডাল আর পানি দিয়ে আপ্যায়নও করা হয়েছিল। তাঁর নিরাপত্তার জন্য আরেকজন অফিসার নিয়োগ করে, আশেপাশের সব সৈন্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল কেউ যেন তাঁর কাছে না আসে।

এদিকে চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে অনেক আলোচনা করেও কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারছিল না পাক বাহিনী। অথচ সময় বয়ে চলছিল দ্রুতবেগে। নির্ধারিত সময়ের মাঝেও বশিরকে ফিরতে না দেখে যৌথবাহিনীর সকলে ধরেই নিয়েছিল, তাঁকে বোধহয় মেরে ফেলেছে পাক বাহিনী। কিংবা মাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে চারটি যুদ্ধবিমান হামলা শুরু করে দেয়া হয়েছিল। এতে পাকিস্তানিদের কয়েকজন সৈনিক হতাহত হলে, তাদের মনোবল আরো ভেঙে গিয়েছিল। 

বশিরকে মেরে ফেলেছে ভেবে সাড়ে ৭ ঘণ্টা পর বেলা সোয়া ৩টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জু কে সেরেন্ডার লেটার ও সাদা পতাকা দিয়ে পাঠালো। সাড়ে ৩টার দিকে ভারতীয় যুদ্ধ বিমান পুনরায় কামালপুর পাকসেনা ক্যাম্প আক্রমণ করলো। বিমান থেকে নিক্ষেপ করা বোমা ও রকেট ল্যান্সারে আঘাতে ৪জন পাক সেনা আহত হয়। এক অফিসার দৌড়ে এসে বলে তোমরা ফাঁকা মাঠে গিয়ে সাদা পতাকা দেখাও, আমরা আত্মসর্মপণ করবো। আমরা ফাঁকা জায়গায় গিয়ে সাদা পতাকা উড়ালে ভারতীয় বিমান চলে যায়। ৪টার দিকে ক্যাম্পের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন আনসার মালিক স্যারেন্ডার লেটারের জবাব লিখে সাথে সাদা পতাকা দিয়ে বলে তোমাদের ব্রিগেডিয়ারের কাছে পৌঁছিয়ে ফেরত লেটার নিয়ে আসো। আমি পৌঁছলে আত্মসর্মপণের শর্তাবলি লিখে ফেরত লেটার দিয়ে ফের পাক ক্যাম্পে আমাকে পাঠায়। পরে আমার সাথে পাকসেনারা অস্ত্র নামিয়ে আত্মসর্মপণ করে। আমাদের কামালপুর ক্যাম্প দখলের পর বাঙালির স্বাধীনতা লাভের সূচনা হয়। বাংলাদেশ বিজয়ের পথে যাত্রা শুরু করে। দ্রুত হানাদার মুক্ত হয় ১১নং সেক্টরের অন্যন্য অঞ্চলগুলো। পরে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী বিজয়ের বেশে রাস্তায় পাকসেনাদের সাথে যুদ্ধ করতে করতে জামালপুর ও টাঙ্গাইল দখল শেষে রাজধানী ঢাকা দখল করে। ১৬ ডিসেম্বর রেসর্কোস ময়দানে পাকবাহিনীর স্যারেন্ডার শেষে বাংলাদেশের আকাশে উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

বীরত্ব ও সম্মান

বশির আহমেদের বীরত্বে কামালপুর যুদ্ধের বিজয় ত্বরান্বিত হয়। এই যুদ্ধের পর বশির আহমেদ ও আনিসুল হক সঞ্জুকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করা হয়। তবে যুদ্ধ-পরবর্তী জীবনে তাঁরা বেশ কিছু আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। বশির আহমেদ ২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে জানান, দীর্ঘ ৪০ বছরে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোনো স্থায়ী সুবিধা নিশ্চিত করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, "যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বাংলাদেশ এখনো বহুদূরে।" তবে তিনি আশা করেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বশির আহমেদের স্বপ্ন

বশির আহমেদ এখনো বিশ্বাস করেন, নাগরিক বৈষম্যহীন সমাজ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা। তাঁর স্বপ্ন, দেশের জনগণ একদিন তাদের সব নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। তখনই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়িত হবে।




সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top