সেবা ডেস্ক: ২০২৪ সালের গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী সামরিক শক্তিতে বাংলাদেশ ৩৭তম স্থানে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে ৩ ধাপ এগিয়ে, অবস্থান ৩৭তম |
সামরিক শক্তি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে সামরিক শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭তম। যেখানে গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪০তম। বিশ্বের ১৪৫টি দেশের সামরিক শক্তি মূল্যায়ন করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের সামরিক শক্তির উন্নতির কারণ
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সামরিক শক্তির এই উন্নতির পেছনে রয়েছে সরকারের প্রতিরক্ষা খাতে ক্রমাগত বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়।
২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত প্রতিরক্ষা খাতে বিভিন্ন উন্নত অস্ত্রশস্ত্র ও প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে।সামরিক প্রশিক্ষণে নতুন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি নৌ ও বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করা হয়েছে।
সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI) এর তথ্যমতে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অস্ত্র আমদানিতে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ২৮তম।
অস্ত্র আমদানি ও সামরিক খাতের উন্নতি
বাংলাদেশের সামরিক শক্তির উন্নতির একটি বড় কারণ হলো, গত এক দশকে বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত অস্ত্র আমদানি।
প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে।সাঁজোয়া যান, মিসাইল প্রযুক্তি, সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজ যুক্ত করার মাধ্যমে সামরিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং অভিজ্ঞতা সামরিক দক্ষতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আন্তর্জাতিক পর্যালোচনায় বাংলাদেশ
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স সামরিক শক্তি পরিমাপের জন্য ৬০টির বেশি ভিন্ন সূচক ব্যবহার করে।
সামরিক সরঞ্জাম, মানবশক্তি, প্রতিরক্ষা বাজেট এবং ভৌগোলিক অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সামরিক শক্তি এখন শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের তুলনায় অনেক এগিয়ে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।