সেবা ডেস্ক: লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শরীর নিয়ে বিতর্ক। বিএনপির অভিযোগ, কারাগারে তাঁকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। চিকিৎসায় নতুন তথ্য উঠে আসছে।
কারাগারে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল খালেদা জিয়াকে? |
অনেক প্রশ্ন ও বিতর্ক পেছনে রেখে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্য গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বর্তমানে লন্ডনের ‘দ্য লন্ডন ক্লিনিক’-এ চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা চলছে। ইতিমধ্যে রক্ত ও ডায়াবেটিস পরীক্ষাসহ প্রাথমিক কিছু রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হয়েছে। লিভার, কিডনি ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নত বিশ্লেষণের জন্য আরও কিছু পরীক্ষার সুপারিশ করেছেন।
কারাগারে থাকা অবস্থায় বিষ প্রয়োগের অভিযোগ
বিএনপি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে দুর্নীতির মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং দুই বছরের বেশি সময় কারাগারে থাকতে হয়। বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর অভিযোগ করেন, “সরকার তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়ার কারণ হচ্ছে, সেখানে বিষ প্রয়োগের সত্যতা প্রমাণিত হবে।”
অন্যদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বেগম জিয়ার খাবারে বিষ মিশিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁর শরীরের ক্ষতি করা হয়েছে।”
লন্ডনে চিকিৎসার সর্বশেষ আপডেট
৭৯ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, কিডনি সমস্যা, হার্ট, ডায়াবেটিস এবং আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা চলছে। তাঁর চিকিৎসা পর্যবেক্ষণে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের একটি চিকিৎসক দল। প্রাথমিক রিপোর্টে কিছু উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, তবে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপন অত্যন্ত জরুরি বলে জানা গেছে।
৫ আগস্ট অভ্যুত্থান ও রাজনীতির পরিবর্তন
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর রাষ্ট্রপতির আদেশে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হয় এবং দুর্নীতির মামলার রায় বাতিল করা হয়। নতুন সরকারের অধীনে তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
জনমনে প্রশ্ন: সত্যতা যাচাইয়ের দাবি
বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ দাবি তুলছেন, “বেগম জিয়ার কারাগারে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ তদন্ত করে দেখা উচিত।” এটি শুধু একটি রাজনৈতিক অভিযোগ নয়, বরং জনগণের স্বার্থে সত্যতা উদঘাটন প্রয়োজন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।