শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের নলবাড়ি গ্রাম সংলগ্ন রাস্তার ইউক্লিপটাস তাজা দুটি গাছ কর্তন করে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে আলম মিয়া বিরুদ্ধে।
রৌমারীতে সরকারী রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ |
রবিবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরের দিকে নলবাড়ি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের নলবাড়ি গ্রামের আলম মিয়া মোটা দুটি ইউক্লিপটাস তাজা গাছ বিক্রি করেন বাইটকামারী বাজার পাড়া গ্রামের ওমর আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলীর কাছে। মোহাম্মদ আলী তার লোকজনজন দিয়ে সরকারি রাস্তার একটি গাছ কর্তন করেন ও অন্য আরেকটি গাছ কাটা শুরু করেন। এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে মোহাম্মদ আলীকে গাছ কাটতে বাধা দেন এবং তার লোকজন দ্রæত পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন সহকারি কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভা:)কে বিষয়টি জানালে তিনি বন্দবেড় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) আব্দুস সালামকে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশ দেন। এর আগেও মোহাম্মদ আলী চোরাইভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন রাস্তার গাছ কর্তন করে আসছিলেন।
কাঠ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, রাস্তার গাছ দুইটি আমি কিনে নিয়েছি। গাছর দাম দিয়েছি ২০ হাজার টাকা। রাস্তার গাছ কেনো কাঠলেন জানতে চাইলে, তিনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে বলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
ইউনিয়ন উপসহকারি ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সালাম মন্ডল, সরেজমিনে তদন্ত করে এসিল্যান্ড বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আপনারা চাইলে এসিল্যান্ড অফিসে গিয়ে দেখতে পারবেন।
উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল হক এর ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
দাতঁভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, রাস্তাটি সরকারি,তবে গাছগুলো মালিকা। তাই তারা দুটি গাছ কেটে নিয়েছে।
সহকারি কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভার:) রাসেল দিও জানান, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে সরেজমিনে দেখতে পাঠানো হয়। পরে তারা দেখে আমাকে জানান, যারা গাছ লাগিয়েছে তারাই কেটেছে। রাস্তা সরকারি হলেও গাছ মালিকানা। এরপরেও বিষয়টি খতিয়ে দেখতেছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।