সেবা ডেস্ক: সোনালি দিনের নন্দিত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানকে ফুলেল শ্রদ্ধায় বিদায় জানিয়ে বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। জানুন তার জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো।
অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান: বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত |
সোনালি দিনের নন্দিত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানকে তার প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসি এবং চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে ফুলেল শ্রদ্ধায় বিদায় জানিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে। আজ (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
অভিনয় জগতে দীর্ঘ ছয় দশকের ক্যারিয়ারে সুনামের সঙ্গে কাজ করা এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী ২৪ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ৬০ বছর বয়সে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সহকর্মীদের শেষ বিদায়
শনিবার সকালে এফডিসিতে অঞ্জনার মরদেহ আনা হলে গভীর শোক নেমে আসে। এফডিসিতে উপস্থিত ছিলেন নায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, অপু বিশ্বাস, চয়নিকা চৌধুরীসহ চলচ্চিত্র ও নাট্যজগতের অনেক পরিচিত মুখ।
বেলা ১টায় এফডিসিতে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দুপুর আড়াইটায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
অভিনয় ক্যারিয়ার ও অর্জন
অঞ্জনা রহমানের অভিনয় ক্যারিয়ার ছিল বৈচিত্র্যময় ও গৌরবময়। তিনি ৩ শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এবং তার অভিনয় দক্ষতার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননা অর্জন করেছেন।
- ১৯৮১ সালে ‘গাংচিল’ এবং ১৯৮৬ সালে ‘পরিণীতা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
- তিনি তিনবার বাচসাস পুরস্কারও লাভ করেন।
অভিনয়ে তার দক্ষতা তাকে বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা অভিনেত্রীতে পরিণত করেছে।
বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদান স্মরণীয়
অঞ্জনা রহমানের মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার সহকর্মী এবং ভক্তরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন,
“অঞ্জনা আপা ছিলেন আমাদের প্রজন্মের একজন প্রেরণাদায়ী অভিনেত্রী। তার কাজ, তার জীবনযাপন আমাদের সিনেমার জন্য এক উজ্জ্বল অধ্যায়।”
পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। নতুন প্রজন্মের শিল্পী ও ভক্তদের কাছে তিনি এক জীবন্ত কিংবদন্তি।
চলচ্চিত্র জগতে তার অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার মতো শিল্পী বাংলা চলচ্চিত্রকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।