কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার বা ইএফটির দ্বিতীয় ধাপেও বেতন পাননি কাজিপুরের এমপিওভূক্ত সাড়ে পাঁচশ শিক্ষক কর্মচারী।
ইএফটির দ্বিতীয় ধাপেও বেতন পাননি কাজিপুরের সাড়ে পাঁচশ শিক্ষক |
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ডিসেম্বর মাসের বেতন ইএফটির মাধ্যমে প্রথমধাপে গত ১ জানুয়ারিতে ছাড় করে। তখন উপজেলার এক হাজারের মতো শিক্ষক কর্মচারীর বেতন আসে। তখন থেকেই হতাশা দেখা দেয় শিক্ষকদের মধ্যে। কেন বাকিদের বেতন আসেনি তার কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এরপর দ্বিতীয় ধাপে গত রোববার বেতন ছাড় করা হয়েছে। কিন্তু সেখানেও সব শিক্ষক কর্মচারীর বেতন ছাড় করা হয়নি। কেন শিক্ষকদের বেতন আসছে না এ বিষয়ে কোন ব্যাখ্যাও নির্ভরযোগ্য কোন তরফ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা গেছে, কাজিপুরে কলেজ রয়েছে ১৩ টি, কারিগরি কলেজ ৫ টি, নি¤œমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে ৫৪ টি এবং মাদ্রাসা রয়েছে ১১ টি। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মরতদের নামের বানান ভুল, ইনডেক্স ভুল , জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে নামের বানানে গড়মিল, হিসার নম্বরের নামের বানানের সাথে সনদের নামের বানানে গড়মিল থাকায় শিক্ষকদের বেতন ছাড় হচ্ছে না বলে কোন কোন শিক্ষক জানিয়েছেন। আমিনা মনসুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম জানান, মোট ৬২ জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ইএফটিেেত বেতন এসেছে ৪৬ জনের। বাকিদের এখনো আসেনি। এই চিত্র উপজেলার প্রায় সকল শিক্সা প্রতিষ্ঠানের।
এ বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা মাধ্যমিক সুপারভাইজার আতিকুর রহমান জানান, শিক্ষকদের প্রেরিত তথ্যে কিছুটা গড়মিল থাকায় বেতন আসেনি বলে জানা গেছে। সংশোধনের চেষ্টা চলছে। তৃতীয় ধাপে সংশোধন সাপেক্ষে বাকিদের বেতন ইএফটিতে চলে আসবে বলে তিনি জানান।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।