সেবা ডেস্ক: সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় কোটা পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিল উপদেষ্টা পরিষদ। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো সুপারিশ তৈরি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
কোটা নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ৩ সিদ্ধান্ত, পুনর্মূল্যায়ন শুরু |
সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মাধ্যমে বিশদ আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকটি উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা পদ্ধতির বর্তমান বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সংস্কার। বিশেষ করে, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত ৫% আসনে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে গভীর পর্যালোচনা করা হয়।
বৈঠকের মূল ৩ সিদ্ধান্ত
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কোটা পদ্ধতি পুনর্বিবেচনায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি কার্যকরের বর্তমান অবস্থা ও এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সুপারিশ উপস্থাপন করবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতির বাস্তবায়ন ও সংশোধনী নিয়ে সুপারিশসহ সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করবে।
কোটা পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক
বাংলাদেশে সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। একদিকে কোটা সুবিধাভোগীরা এটি বহাল রাখার পক্ষে, অন্যদিকে অনেকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ ও ভর্তি ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করা হলেও এখন তা পুনর্মূল্যায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো শিগগিরই কোটা পদ্ধতি নিয়ে সুপারিশমালা চূড়ান্ত করবে এবং এর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।