সেবা ডেস্ক: শেরপুরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ছানার পায়েস জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
শেরপুরের শত বছরের ঐতিহ্য ছানার পায়েস এখন জিআই পণ্য |
শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী ছানার পায়েস ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি শেরপুর জেলার জন্য এক গর্বের বিষয় এবং ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টান্ন এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশেষ পরিচিতি লাভ করবে।
জেলা প্রশাসনের আবেদনের ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন পেটেন্ট, শিল্পনকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ছানার পায়েসকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জারি করা জিআই নিবন্ধন সনদ শেরপুর জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পৌঁছায়।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, "তুলসীমালা চালের পর শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী ছানার পায়েস জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় শেরপুরের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিদেশেও মিষ্টান্নটি রপ্তানি করার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।"
শেরপুরের ছানার পায়েসের ঐতিহ্য প্রায় শত বছরের পুরোনো। ব্রিটিশ আমলে শেরপুরের ঘোষপট্টি এলাকায় এই মিষ্টির উৎপত্তি হয়। প্রাথমিকভাবে এটি মাত্র কয়েকটি দোকানে তৈরি হতো। বর্তমানে জেলার সদরসহ ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী, নকলা, এবং নালিতাবাড়ী উপজেলাতে ছানার পায়েস পাওয়া যায়। প্রতিকেজি ছানার পায়েসের দাম ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।
দুর্গাচরণ মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী মঙ্গল চন্দ্র ঘোষ বলেন, "জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় মিষ্টি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।"
দুর্গাচরণ মিষ্টান্ন ভান্ডারের কারিগর রিপন চন্দ্র ভদ্র জানান, "ছানার পায়েস তৈরির মূল উপকরণ হলো দুধ, চিনি, ময়দা এবং এলাচ। প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে ক্ষীর তৈরি করা হয়। এরপর দুধ থেকে ছানা কেটে তাতে ময়দা মিশিয়ে ছোট ছোট গুটি তৈরি করা হয়। গুটিগুলো চিনির শিরায় ভিজিয়ে ক্ষীরের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা তাপে জ্বাল দেওয়া হয়।"
আওয়ার শেরপুর ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, "ছানার পায়েস শেরপুরের ব্র্যান্ডিং ও সংস্কৃতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। জিআই পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এ ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও জনপ্রিয় হবে।"
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।