শফিকুল ইসলাম: রৌমারী বাজারে বেড়েছে শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজির। এতে দামেও কমায় সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে এসেছে স্বস্তি।
গত নভেম্বর মাসের তুলনায় চলতি ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রতিটি সবজির দাম কমপক্ষে ২০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। নভেম্বরে যে সকল সবজি খুচরা বাজারে ৮০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে সেসব এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহ থেকে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে প্রতিটি সবজির দাম অনেকটা কমেছে। সামনে শীতকালীন আরও বিভিন্ন ধরনের সবজির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে সামনের দিনগুলোতে সবজির দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রৌমারী উপজেলার রৌমারী বাজার, কর্তিমারী, সায়দাবাদ, শিবেরডাঙ্গী, বড়াইকান্দি,দাঁতভাঙ্গা, টাপুরচর, বাইটকামারীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
রৌমারী বাজার এলাকার বাসিন্দা জেলেকা বেওয়া পেশায় তিনি একজন পাথর ভাঙ্গা শ্রমিক। সবজি কিনতে এসেছিলেন রৌমারী বাজারে। তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগেও বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম বেশি থাকলেও এখন অনেক দাম কমেছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এমন দামেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।
এদিকে পেঁয়াজের বাজারেও স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে, কমেছে দামও। এক-দেড় মাস আগে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, এখন কেজিতে ৫০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন দেশি হাইব্রিড পেঁয়াজের কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। এছাড়া রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ২৫ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, শিম মানভেদে ৪০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাচাকলা ৪০ টাকা, হাইব্রিড লেবুর হালি ২০ এবং মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, নতুন আলু ৭০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। আর মানভেদে ফুলকপি ৩০ টাকা, পাতাকপি প্রতি পিচ ২৫ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা। ইন্ডিয়ান আদা ১৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
এদিকে ডালের দামে দেখা গেছে স্থিতিশীল। প্রতি কেজি মসুর ডাল কিনতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বুটের ডাল ৭০ টাকা, ছোলার ডাল ১৩০ টাকা, মুগডাল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজারে মুরগির দামও অপরিবর্তিত দেখা গেছে। গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৮০, লেয়ার ৩২০ ও দেশী মুরগি ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া খাসির মাংস কেজি দরে এক হাজার ও গরুর মাংস ৭০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে জিয়েল মাছ ৪০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮৫০ টাকা, চাকা চিংড়ি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই মাছ ২০০ টাকা, টাকি মাছ ৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ও চাষের কই ২৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
ক্রেতা মো. জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, বাজারে বেশ কিছু দিন ধরে শীতকালীন নতুন সবজি উঠেছে। এতে করে দামও আগের তুলনায় অনেক কমেছে। প্রতিটা সবজিতেই ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমেছে। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরেছে।
বিক্রেতা ফরহাদ হোসেন বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত শীতকালীম সবজি এসেছে। দামও আগের তুলনায় সব ধরনের সবজিতে অনেকটা কমেছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।