কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: দ্ব›দ্ব নিরসনকল্পে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গভীর নলকূপ এসকে ১১ এর ম্যানেজার নিয়োগের জন্যে কণ্ঠ ভোটের আয়োজন করা হয়।
সোমবার দুপুরে কাজিপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই আয়োজনে শতাধিক কৃষক অংশ নেন। তবে ম্যাজেনার প্রার্থী একজন এই ভোটে হাজির না হলে শেষ পর্যন্ত জেলা সেচ কমিটির প্রধান ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট বিষয়টির সুরাহার জন্যে প্রতিবেদন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেওয়ান আকরাম হক।
জানা গেছে, উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ছালাভরায় অবস্থিত এসকে ১১ সেচ পাম্পের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মৃত শাহজাহান আলীর পুত্র হারুন আর রশিদ। আশির দশকের শুরুতে এক বছরের জন্যে ম্যানেজার ছিলেন হারুনের চাচা নুরুল ইসলাম। পরে তিনি সেচ চালাতে অপারগতা প্রকাশ করলে হারুনের পিতা শাহজাহান আলী ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তার মৃত্যুর পরে প্রায় এক যুগ ধরে শাহজাহানের পুত্র হারুন অর রশিদ ম্যানেজার হিসেবে সুষ্ঠুভাবে সেচকাজ চালিয়ে আসছিলেন। সম্প্রতি নুরুল ইসলাম নিজেকে ওই পাম্পের আবারো ম্যানেজার দাবী করে নানা স্থানে দরখাস্ত দেয়। সর্বশেষ কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার বিষয়টির তদন্ত করে হারুন অর রশিদের অনুকূলে প্রতিবেদন জমা দেন। ওই সেচ পাম্পের অন্তর্গত শতাধিক কৃষক তদন্তের সময়ে হারুন অর রশিদকে ম্যানেজার হিসেবে উপযুক্ত এবং নিরবচ্ছিন্ন সেচ প্রদানকারী হিসেবে তাকে সমর্থন করেন। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী সোমবার কণ্ঠভোটের আয়োজন করলে নুরুল ইসলাম তাতে অংশ না নিয়ে ডাকযোগে পত্র পাঠিয়ে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। এদিকে কণ্ঠভোট দিতে আসা শতাধিক কৃষক এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তারা ওই সেচ পাম্পের ম্যানেজার হিসেবে একযোগে হারুন অর রশিদকে চান। এ বিষয়ে ইউএনও দেওয়ান আকরামুল হক সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি লিখিত আকারে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরণ করা হবে। তিনি যে রায় দেবেন সে অনুযায়ী ওই সেচ পাম্প পরিচালিত হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।