সেবা ডেস্ক: কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডে নতুন হাইকমিশন স্থাপন করা হবে।
কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট হচ্ছে |
অবশেষে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে উপদেষ্টা পরিষদ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।
কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিটি দীর্ঘদিন ধরে বাঙালির কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশ ছিল। যদিও ১৯৮৭ সাল থেকেই তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়, এই প্রথমবার তা আনুষ্ঠানিক গেজেট আকারে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। তবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব আপাতত অনুমোদন পায়নি।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আতাউর রহমান জানান, সংবিধান সংশোধনের বিষয়টি সংসদীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে।
কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যিক অবদান
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক অবিস্মরণীয় প্রতিভা। তাঁর ২৩ বছরের সাহিত্যিক জীবনে কবিতা, গান, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটকসহ সাহিত্যের প্রতিটি শাখায় তিনি অবদান রেখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা:
- কবিতা: বিদ্রোহী, প্রলয়োল্লাস, আগমনী।
- উপন্যাস: বাঁধন হারা, মৃত্যুক্ষুধা।
- ছোটগল্প: ব্যথার দান, রিক্তের বেদন।
- রণসংগীত: চল্ চল্ চল্।
বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে ঢাকায় নিয়ে আসে। ১৯৭৬ সালে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।