সেবা ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সঠিক তথ্য উপস্থাপনে নতুন শিক্ষাক্রমে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে উল্লেখ করে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন করা হচ্ছে।
স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত, নতুন পাঠ্যপুস্তক সংশোধন |
বাংলাদেশের নতুন শিক্ষাক্রমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রবন্ধে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম যুক্ত হচ্ছে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে এতদিন শেখ হাসিনা, শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং ডা. দীপু মনির নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এবার সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামও যুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মওলানা ভাসানী এবং জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর অবদান তুলে ধরা হচ্ছে।
বর্তমান পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটি জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধে যার যতটুকু অবদান রয়েছে তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হবে। ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদেশক্রমে পুনরায় তা প্রচার করেন বলে উল্লেখ করা হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, নতুন পাঠ্যবইয়ে অতিরঞ্জিত তথ্য ও ইতিহাসের বিকৃতি এড়িয়ে প্রকৃত তথ্যগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এবার সব পক্ষের সঠিক ভূমিকা তুলে ধরতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বিশিষ্ট নেতাদের অবদান ছাড়াও জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা ও তার পরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর তথ্য শিক্ষার্থীদের কাছে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা হবে।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সকল পাঠ্যপুস্তকই সংশোধন করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংযোজন, ভাষা আন্দোলনসহ জাতীয় ইতিহাসের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।