সেবা ডেস্ক: জোনায়েদ সাকি অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাসের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেছেন। জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে জনগণ আর সময় দেবে না।
গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতায় আসার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তীব্র সমালোচনা করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, "যদি এই দায়িত্ব পালন করতে না পারেন, তবে কেন দায়িত্ব নিয়েছেন?"
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, তিন মাস পার হলেও জানমালের নিরাপত্তা, সুশাসন এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, “২০১৯ সালের পর আমরা স্পষ্ট বলেছি, বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনী, ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের মধ্যরাতের নির্বাচন এই ফ্যাসিবাদকে আরও সুসংহত করেছে। ২০২৪ সালে আসন্ন নির্বাচন যদি এই পদ্ধতিতেই হয়, তবে তা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জানান, জনগণের স্বপ্ন পূরণে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ প্রয়োজন। তিনি বলেন, “নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান। রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার, আইন ও প্রশাসনের মেরামত, এবং স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, "ছাত্র-শ্রমিক-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার স্বার্থে রাজনৈতিক ঐক্য অপরিহার্য। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং ফ্যাসিস্ট ধাঁচের শাসনকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে।"
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য দেওয়ান আব্দুর রশীদ ও মনির উদ্দীন পাপ্পু সমাবেশে বক্তব্য দেন। তারা জনগণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।