মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই: ট্রাম্প বনাম হ্যারিস

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

সেবা ডেস্ক: আগামীকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে। কে জিতবে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ট্রাম্প বনাম হ্যারিস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে কার হবে জয়ের মুকুট


সব কল্পনা-জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। 

এরইমধ্যে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় কমলা-ট্রাম্পের পরস্পরিরোধী আক্রমণে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলে, বিজয়ী কে তা জানতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে। তবে সব পূর্বাভাস অনুযায়ী এখন পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়েরই ইঙ্গিতই মিলছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় ও সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে লড়াই জোরাল হবে। কয়েকটি এলাকায় ব্যবধান খুবই কম হতে পারে। ফলে পুনরায় ভোট গণনারও প্রয়োজন পড়তে পারে। 

আর যদি ভোটের ব্যবধান খুব কম হয় বা কোনো প্রার্থী নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ করেন, তবে ফল ঘোষণায় আরো বেশি সময় লাগতে পারে। ২০২০ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ তোলার কারণে কিছু রাজ্যের ফল চূড়ান্ত হতে সময় লেগেছিল।

সে বছরের মতো এই রাজ্যগুলোতে ভোটগণনা ও ফল ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। শেষ পর্যন্ত এই রাজ্যগুলোই ফল নির্ধারণে চূড়ান্ত ভূমিকা রাখে। 

অন্যদিকে মিশিগানের মতো কিছু এলাকায় ভোটগ্রহণ এবার আগের চেয়ে দ্রুতগতির হবে। কারণ গতবার করোনা মহামারির কারণে ভোটগ্রহণ ধীরগতির ছিল।

জরিপে জাতীয়ভাবে কে এগিয়ে

জাতীয়ভাবে ভোটারদের নিয়ে যেসব জরিপ হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে গড়ে ট্রাম্পের চেয়ে অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন কমলা। জুলাইয়ে কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটদের প্রার্থী হওয়ার পর থেকে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন। 

জাতীয়ভাবে যেসব জনমত জরিপ হয়েছে, তার গড় করে দেখা যাচ্ছে, রোববার পর্যন্ত কমলা হ্যারিসের পক্ষে সমর্থন ৪৮ শতাংশের, আর ট্রাম্পের সমর্থন ৪৭ শতাংশ

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচার শুরুর প্রথম সপ্তাহগুলোয় কমলা হ্যারিসের দিকে সমর্থন বেশি ছিল। 

আগস্টের শেষে দেখা গিয়েছিল, ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় চার পয়েন্টে এগিয়ে কমলা। এরপর থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের শুরুর দিকে পূর্বের অবস্থানই ধরে রেখেছিলেন কমলা হ্যারিস।

 তবে শেষ কয়েক সপ্তাহে দেখা গেছে, জরিপে কমলার সঙ্গে ট্রাম্পের ব্যবধান কমে এসেছে।

একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী গোটা দেশে কতটা জনপ্রিয়, তা জানার জন্য জাতীয়ভাবে করা জরিপগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

কিন্ত নির্বাচনে ফলাফল অনুমানের জন্য জাতীয় জরিপই সবচেয়ে ভালো উপায় নয়। এর কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মাধ্যমে। 

এ পদ্ধতিতে জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য পৃথক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বরাদ্দ থাকে। 

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট আছে ৫৩৮টি। এর মধ্যে ২৭০টি প্রয়োজন জয়ের জন্য। এক রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট তিনিই পাবেন।

দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোয় এগিয়ে ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চূড়ান্ত ফল নির্ধারণী দোদুল্যমান সাত রাজ্যে শেষ সময়ের জরিপে রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে চমক দেখা গেছে। 

সোমবার ব্রাজিল-ভিত্তিক এই জরিপ সংস্থা অ্যাটলাস ইনটেলের জনমত জরিপের ফলে বলা হয়েছে, দোদুল্যমান সাত রাজ্যের সবকটিতে কমালা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তাদের ব্যবধান একেবারে সামান্য।

রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ডেমোক্র্যাট দলীয় কমালা হ্যারিসের মাঝে ব্যাপক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে অন্যান্য জনমত জরিপেও। 

অ্যাটলাস ইনটেলের জরিপের ফলে দেখা যায়, দোদুল্যমান রাজ্য অ্যারিজোনায় জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ৫২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং হ্যারিসের প্রতি ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন।

দোদুল্যমান আরেক রাজ্য নেভাদায় জরিপে অংশ নেওয়া ৫১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবং ৪৬ শতাংশ হ্যারিসকে সমর্থন জানিয়েছেন। 

এছাড়া নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রাম্প ৫০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং কমালা হ্যারিস পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ জনসমর্থন।

অ্যাটলাস ইনটেলের জনমত জরিপ অনুযায়ী, জর্জিয়া রাজ্যেও এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রাজ্যে ৫০ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এবং ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। 

মিশিগানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং হ্যারিসের প্রতি ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন।

আর পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্প ৪৯ দশমিক ৬ শতাংশ ও কমালা হ্যারিস ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ এবং উইসকনসিনে ট্রাম্প ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ এবং হ্যারিস ৪৮ দশমিক ৬ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন।

দেশটির সাত রাজ্যে অ্যাটলাসের পরিচালিত এই জনমত জরিপে গড়ে এগিয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে তিনি কমালা হ্যারিসের ৪৭ দশমিক ২ শতাংশের তুলনায় ৪৯ শতাংশ জনসমর্থন পেয়েছেন।

অ্যাটলাস ইনটেল বলেছে, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও সবচেয়ে নির্ভুল জনমত জরিপ প্রকাশ করেছিল তারা। 

ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেকটি দোদুল্যমান রাজ্যে করা তাদের জনমত জরিপের ফল সঠিক হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। 

আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় রেড স্টেট বা লাল রাজ্য। আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ব্লু স্টেট বা নীল রাজ্য।

ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোনা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোনও শিবিরে যেতে পারে।

ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু সুইং স্টেটের দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। 

এগুলোই হল আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এসব রাজ্যকে অনেকে বলে থাকে বেগুনি রাজ্য

প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। যেগুলোকে বলা হয় ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। 

আর এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় জয় পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এই রাজ্যগুলোতেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাদা, পেনসিলভানিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলো ২০১৬ সালে এভাবেই ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট হয়ে উঠেছিল। 

প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।

ট্রাম্পের আলোচিত বক্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে রিপাবলিকান দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, নির্বাচিত হলে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরিণতি দেশকে বিপদে ফেলতে পারে।

 তিনি সতর্ক করে বলেছেন, “কমলা হ্যারিস যদি আবারও প্রেসিডেন্ট হন, তবে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনীতির জন্য তা হবে এক বিপর্যয়।” ট্রাম্প আরও বলেন, “নির্বাচিত হলে আমি কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং সীমান্তে নতুন আইন প্রবর্তন করব যাতে অবৈধ প্রবেশ বন্ধ করা যায়।”

সীমান্ত নিরাপত্তার পাশাপাশি, ট্রাম্পের প্রচারণার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। তিনি বলেছেন, “আমার সরকারের সময় দেশের অর্থনীতি রমরমা ছিল। আমি পুনরায় দেশের অর্থনীতিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনব।” 

তিনি তার প্রশাসনের সময়ের আর্থিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন, যা বর্তমানে নির্বাচনী প্রচারণায় বড় ভূমিকা রাখছে।

অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের প্রশাসনের নীতিগুলোকে একরকম গঠনমূলকভাবে সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, “ট্রাম্পের শাসনামলে দেশটিতে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে একতা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ করব।” 

তিনি পরিবেশ রক্ষার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, “আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির উপর ভিত্তি করে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।”

নির্বাচনের দিনক্ষণ

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রবীণ এবং নতুন ভোটারদের উপস্থিতি প্রায় সবসময়ই বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ভোটার নিবন্ধনের জন্য দেশে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা ভোটারদের ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজতর করে। 

নভেম্বর ৫ তারিখে নির্বাচন হওয়ার কারণে ভোটাররা আগাম ভোটদান, ডাকযোগে ভোট এবং সাধারণ ভোটের মাধ্যমে নিজেদের মত প্রকাশ করতে পারবেন।

এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনের ফলাফল কেবল মার্কিন রাজনীতির উপরই নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে। 

বর্তমানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, সামাজিক ইস্যু এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মিলিয়ে নির্বাচনের ফলাফল কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে সারা বিশ্ববাসীর নজর থাকবে।


এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কেবল একটি রাজনৈতিক ঘটনাই নয়, বরং এটি আমেরিকান সমাজের ভবিষ্যৎ এবং বৈশ্বিক রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক হতে পারে। 

আগামীদিনগুলোতে ট্রাম্প এবং হ্যারিসের মধ্যে টানাপোড়েন ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলবে, যা নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য ভোটগ্রহণের ফলাফল দেশের রাজনৈতিক চিত্রকে এক নতুনভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারে, যার প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হবে।

এই নির্বাচনের ফলাফল কি হবে, সেটি নির্ধারণ করতে হলে আমেরিকার জনগণের মতামত এবং তাদের ভোটের গুরুত্ব অপরিসীম। 

এবার সবার চোখ থাকবে নির্বাচনের ফলাফলের দিকে, এবং জয়ের মুকুট কার মাথায় উঠবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী কিছুদিন।



সূত্র:এএফপি /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top