সেবা ডেস্ক: মির্জা ফখরুল বলেছেন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা যাবে না। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাষ্ট্র সংস্কারে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা যাবে না: মির্জা ফখরুল |
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার করা যাবে না। গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধের সমাজ গড়ার জন্য যুদ্ধ হয়েছিল। অথচ আওয়ামী লীগ সেই গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।’
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ফ্যাসবাদবিরোধী দীর্ঘ আন্দোলন: আজকের প্রেক্ষিত নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি আয়োজিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। তবে বিএনপি এককভাবে সরকার গঠন করতে চায় না। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা ভূমিকা রেখেছে, তাদের নিয়ে একটি সমন্বিত সরকার গঠন করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য শুধু ক্ষমতায় যাওয়া নয়, একটি কার্যকর ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি সংবিধানেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। তবে তা করতে গেলে সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। হঠাৎ কোনো পরিবর্তন করলে সেটি টেকসই হবে না।’
মির্জা ফখরুল আরও উল্লেখ করেন, ‘বিপ্লব নয়, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ওপর বিশ্বাসী। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিকভাবেই বৈধতা পেয়েছে। সেই কাঠামোর ভিত্তিতেই আমাদের এগোতে হবে। আমাদের দায়িত্ব হলো, এই কাঠামো ধরে রেখেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা।’
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ছাত্রদের রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ‘তরুণদের নতুন ভাবনা সমাজ পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ দিক। তাদের চিন্তা-ভাবনাকে অন্তর্ভুক্ত করেই ভবিষ্যৎ সরকার পরিচালনা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রক্রিয়ায় সকল দলকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। তা না হলে পরিবর্তন টেকসই হবে না।’
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।