শফিকুল ইসলাম,রৌমারী: কুড়িগ্রামের রৌমারী ও উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদীর মাঝামাঝি চরে হঠাৎ ধুলোঝড়ের সৃষ্টি হয় এতে করে হঠাৎ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
ঐসময় চরের স্থানীয়রা প্রাণ বাচাতে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করতে থাকে। এতেকরে বিপাকে পড়ে শিশু ও বৃদ্ধরা। এ ধুলোঝড়টি ঘন্টাখানেক পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয়দের ভাষায় এই ধুলোঝরটাকে (বাইকুরানী) বলা হয়। এ ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচরে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে রৌমারী ও উলিপুর উপজেলার মাঝামাঝি হঠাৎ করে ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর চর সোনাপুর ও সুখেরচর এলাকার মাঝামাঝি এ ধুলোঝড় শুরু হয়। এ ঝরটি প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থান ছিল। পরে এই ধুলোঝরটি পাইপের মতো আকার ধারণ করে বালু আকাশের দিকে উড়ে যাইতে শুরু করে। এ ঝরটি প্রায় এক ঘন্টা ছিলো। এ সব দেখে মুহুর্তের মধ্যে ওইসব এলাকায় ধুলো উড়িয়ে অন্ধকার হয়ে যায়। পরে তাদের শিশু সন্তান, বৃদ্ধ ও গৃহপালিত পশু নিয়ে পরেন বিপদে। এর পরে তারা মুখে গামছাবেধে দ্রæত নিরাপদ স্থানে চলে যায়। এ ঝড়ে ফসলের ক্ষতি হলেও জানমালের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে এই ধুলোঝড়টির দৃশ্য দুর থেকে দেখতে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভীর জমায়।
চর সোনাপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, আমি আমার জমিতে কাজ করতে ছিলাম। হঠাৎ করে ঝড়এসে চরের বালু আকাশের দিকে উড়ে যায় এবং পুরো এলাকাটি অন্ধকার হয়। আমরা ভয়ে অনেক দুরে সরে যাই। প্রায় একঘন্টা পর এ ঝড় (বাইকুরানী) থেমে যায়।
সুখেরচর গ্রামের আমিনা বেগম বলেন, আমি বাড়িতে রান্নার পাশাপাশি গরুকে পানি খাওয়াইতে ছিলাম। হঠাৎ তরে অন্ধকার হয়ে যায়। এবং চরের বালু আকাশের দিকে উইরা যাইতে থাকে। এই দেইখা আমরা সববাই ভয় পাইয়া এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকি এবং নিরাপদে চলেযাই। তিনি আরো বলেন, আমর জীবনে এমন বালুর বাইকুরানী (ধুলোঝড়) দেখিনাই। এটা মনেহয় আল্লাহর গজর।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আবহাওয়ার প্রকৃতির উপর নির্বর করে ধুলোঝর, ঘুর্ণীঝর হয়ে থাকে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের চরের এ ধুলোঝরে ফসলের ক্ষতি হলেও জান মালের কোন ক্ষতি হয়নি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।