সেবা ডেস্ক: বাগেরহাটসহ বিভিন্ন বাজারে ইলিশের দাম এখনো বেশি। সরবরাহ কম থাকায় দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ব্যবসায়ীরা দাম কমার আশ্বাস দিলেও ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
বাগেরহাটে এখনো নাগালের বাইরে ইলিশের দাম, ভোক্তাদের ক্ষোভ |
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বাজারে এখনো ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে ইলিশের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, সরবরাহ কম থাকায় এই অবস্থা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বাগেরহাটের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, আর ছোট ও মাঝারি সাইজের ইলিশের দামও অনেক বেশি। নিষেধাজ্ঞা শেষের পরও দাম বেশি থাকায় ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।
বাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাগরের মাছ না আসা এবং নদীতে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ মাছ না পাওয়ার কারণেই দাম বাড়ছে।
বাগেরহাট মাছ বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল সালাম জানান, সাগরে ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জেলেরা ইলিশ আহরণে ঝুঁকি নিচ্ছেন না।
ফলে বাজারে বরিশাল অঞ্চলের নদী থেকে আহরিত ইলিশই পাওয়া যাচ্ছে, যা সাধারণত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সাগরের মাছ আসতে শুরু করলে ইলিশের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, মাওয়ার মৎস্য আড়তে ইলিশের প্রচুর সরবরাহ থাকলেও, ক্রেতারা মনে করছেন সিন্ডিকেটের কারণে দাম এখনো বেশি।
মাওয়ার আড়তের সভাপতি জীবন দাস বলেন, “সরবরাহ বাড়লেও দীর্ঘদিনের চাহিদা জমে থাকার কারণে দাম কিছুটা বেশি।
আশা করা যায়, সরবরাহ স্থিতিশীল হলে দাম কমবে।” তবে সেখানে ছোট-বড় ইলিশের প্রচুর সরবরাহ থাকায় বাজারজুড়ে উপচেপড়া ভিড়।
অন্যান্য মাছের দামও ইলিশের প্রভাবে বেড়েছে। যেমন, ভেটকি, রুই, কাতলা, চিংড়ির দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বল্প আয়ের মানুষেরা বেশি দামের মাছ কিনতে পারেন না বলে টুকরো টুকরো করে মাছ বিক্রির দাবি জানিয়েছেন তারা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।